Bankura News: ‘চুড়ি পরে বসে নেই’, ভোটের আগে স্বরগরম TMC নেতাদের

Bankura News: এরপর শনিবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই ভগবানপুর মোড়ে মহিলা তৃণমূল একটি সভার ডাক দেয়। সেই সভায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষা মৌ সেনগুপ্ত নাম না করে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান ও স্বামীকে উদ্যেশ্য করে বলেন, "এবার চোখ রাঙাতে এলে মা বোনেরা আপনাদের গাছে বেঁধে রাখবে।"

Bankura News: 'চুড়ি পরে বসে নেই', ভোটের আগে স্বরগরম TMC নেতাদের
তৃণমূল নেত্রীর হুঁশিয়ারিImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 11, 2024 | 12:31 PM

বাঁকুড়া: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন কুকথার বুলি ছুটছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের মুখে। তৃণমূলের সভামঞ্চ থেকে কেউ দিলেন ‘গাছে বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি’ কেউ আবার বললেন, ‘আমরা হাতে চুড়ি পরে বসে নেই।’ প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে এভাবেই স্থানীয় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তাঁর স্বামী ও ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষা। ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের ভগবানপুর এলাকার। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তরের পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে অন্য দুই স্তরের পদাধিকারীদের এমন বেনজির আক্রমণে সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের তেঘরি গ্রাম পঞ্চায়েতে সমান-সমান আসন পায় বিজেপি ও তৃণমূল। টসে জিতে ওই পঞ্চায়েতের দখল পায় বিজেপি। সম্প্রতি বিজেপি পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাঁর স্বামী ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরির’ অভিযোগ তুলে বিডিওর দ্বারস্থ হন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংঘের নেত্রীরা।

এরপর শনিবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই ভগবানপুর মোড়ে মহিলা তৃণমূল একটি সভার ডাক দেয়। সেই সভায় প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষা মৌ সেনগুপ্ত নাম না করে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান ও স্বামীকে উদ্যেশ্য করে বলেন, “এবার চোখ রাঙাতে এলে মা বোনেরা আপনাদের গাছে বেঁধে রাখবে।” ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র বলেন, “এভাবে আগামী দিনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না। আমরা কেউ চুড়ি পরে বসে নেই।”

অপরদিকে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পরিচালক সংস্থা সংঘ নেত্রীদের দাবি, প্রধান, প্রধানের স্বামী ও উপপ্রধান যেভাবে তাঁদের অসম্মান করেছে তা কোনও ভাবেই তাঁরা মেনে নিতে পারছে না। যদিও নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্ব্যবহারের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান স্বপন কুমার মণ্ডল। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দুর্ব্যবহার করিনি। আমাদের রাগ ছিল কারণ কোনও অনুমতি ছাড়াই ওনারা কাজ করেছেন। এছাড়া কোনও খারাপ ভাষা বের হয়নি।”