
বিষ্ণুপুর: “গাই-বাছুর নিয়ে দিল্লিতে লুকিয়ে আছেন তো। ভেবেছিলেন অন্তত হাফ প্যান্ট মন্ত্রী হবেন, তা না হতে পেরে মানসিক হতাশায় আক্রমণ করছেন।” দিলীপ ঘোষের উপর আক্রমণের ধার বাড়াতেই কয়েকদিন আগেই এ ভাষাতেই সৌমিত্রর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। এবার সেই সুজাতাকে আইনি নোটিস পাঠাচ্ছেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগেও সরব সাংসদ।
সুজাতা মণ্ডলের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর আইনি বিচ্ছেদ হয়েছিল আগেই। বিচ্ছেদের আইনি প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়েও একে অপরের বিরুদ্ধে বারবার ছুড়ে দিয়েছেন কটাক্ষবাণ। আপাতত দুজনেই দুই পৃথক শিবিরে। সৌমিত্র খাঁ বিজেপির সাংসদ। অন্যদিকে সুজাতা মণ্ডল বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ। দু’পক্ষের বিবাদে বেশ কিছুদিন বিরতি চলার পর সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ ইস্যুতে ফের তাঁদের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে আসে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন তরজা।
তারই পাল্টা এবার সুজাতার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন সাংসদ সৌমিত্র। সাংসদের দাবি, সুজাতা মণ্ডল কলকাতার একটি সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষিকা। কিন্তু, গত ৬ বছর ধরে তিনি একদিনের জন্যও স্কুলে যাননি। কীভাবে স্কুলে না গিয়ে মাসের পর মাস বেতন তুলছেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ। একইসঙ্গে সুজাতার বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের মৎস্য বিভাগে ৭০ শতাংশ হারে কাটমানি নেওয়া ও বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন সাংসদ। সুজাতার বিরুদ্ধে চাকরির জন্যে টাকা নেওয়ার অভিযোগও এনেছেন সাংসদ। একইসঙ্গে গত এক বছরে তিনবার সুজাতার বিদেশ যাত্রা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সৌমিত্র। তাতেই নতুন করে সরগরম রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সুজাতার। একাধিকবার তাঁকে টেলিফোন করা হলেও তিনি সেই ফোন ধরেননি।