
বিষ্ণুপুর: তোপ পাল্টা তোপ। চর্চা, সমালোচনা, আক্রমণ থেকে পাল্টা আক্রমণ– দিলীপের দিঘা যাত্রার পর থেকেই সৌমিত্র-দিলীপের তুমুল বাগযুদ্ধ দেখেছে গোটা বাংলা। বউ থেকে বিছানা– বেনজির সংঘাতে তুমুল অস্বস্তি দলের অন্দরেই। এমতাবস্থায় কৌশলে দিলীপ ঘোষের প্রসঙ্গ এড়ালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। দিলীপের করা মন্তব্যকে আমল না দিয়ে সাংসদের দাবি, ‘রাজনীতিতে কমা থাকতে পারে, কিন্তু ফুলস্টপ বলে কিছু হয় না’। একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষ নিয়ে প্রশ্ন করতেই সৌমিত্র বললেন, ‘ক্লোজড চ্যাপ্টার’।
দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সরগরম বাংলার রাজনীতি। দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বোমা ফাটাতে দেখা গেছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। প্রত্যুত্তরে পাল্টা সৌমিত্র খাঁর প্রতিও বিভিন্ন সময়ে কখনও নাম করে কখনও নাম না করে তীর্যক মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। দু’পক্ষের আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণ নেমে আসে ব্যক্তিগত স্তরেও। কিন্তু, দিল্লি থেকে বাঁকুড়ায় ফিরেই সেই বিতর্কে ইতি টানার চেষ্টা? সৌমিত্রর মন্তব্য দেখে তেমনটাই মত রাজনীতির কারবারিদের।
এদিন দুপুরে বাঁকুড়ার কোতুলপুরে মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ঈশানি চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়ে তাকে সংবর্ধনা জানান সৌমিত্র। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পরেও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দিলীপ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান সৌমিত্র। তাঁর দাবি, “রাজনীতিতে সব কিছুই সম্ভব। রাজনীতিতে কমা ও এবং থাকতে পারে কিন্তু ফুলস্টপ বলে কিছু হয় না। দলের স্বার্থে যা ভাল হবে তাই করব”। একইসঙ্গে সৌমিত্রর আরও সংযোজন, “নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে দেখে দল করতে এসেছি। তাঁরাই আমার নেতা। অন্য কে কী বলল তা নিয়ে আর বিতর্কে যেতে চাই না”।
এদিন সৌমিত্র আরও বলেন, “আমি ২০০৬ সাল থেকে লাগাতার রাজনীতি করে আসছি। তাই আমাকে কেউ কিছু শেখাচ্ছে না”। এদিন ফের নিজের প্রাক্তন স্ত্রীর প্রসঙ্গ উঠে আসে তাঁর কথায়। বলেন, “২০২১ সালে যখন কেউ আমার কাছ থেকে চলে যেতে চায় তখন তাঁকে বিদায় জানিয়েছি। আমি রাজনীতি বলতে বুঝি শুধুমাত্র পজিটিভ, পজিটিভ এবং পজিটিভ”।