Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘দারিদ্র কী বুঝি’, বাবা-মা হারা চার নাবালকের পাশে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি

একুশের বিধানসভা ভোটে জয়ী এই বিজেপি প্রার্থী নিজে ১০০ দিনের কাজ করেছেন। স্বামীও দিনমজুর। সারাদিন খেটেখুটে ৪০০ টাকা রোজগার করেন।

'দারিদ্র কী বুঝি', বাবা-মা হারা চার নাবালকের পাশে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 23, 2021 | 11:16 PM

বাঁকুড়া: নিজে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে বিধায়ক হয়েছেন। তাই সবসময় মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি। এদিন তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিশিণ্ডা গ্রামে বাবা-মা হারানো ৪ অসহায় নাবালকের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। প্রতিশ্রুতি দিলেন নিজের সাধ্যমতো সবসময় তাদের পাশে থাকবেন।

বেশ কিছুদিন আগে এই চার ভাইবোন অনাথ হয়েছে। একটা ঝুপড়ির মধ্যে কোনওরকম চার খুদের বসবাস। কোনওদিন খাবার জোটে, কোনওদিন জোটে না। এই খবর পৌঁছয় নয়া বিধায়কের কানে। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন তিনি। চার জনকে কিছুদিনের খাবার, মাস্ক, স্যানিটাইজার, এক সেট করে জামা-কাপড় দিয়ে যান চন্দনা। নিজের হাতে শিশুদের মাস্ক পরিয়েও দেন তিনি।

চন্দনা দেবী জানান, তিনি তো পাশে থাকবেনই, তাছাড়া বিডিও সাহেবকে বলে এদের রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করবেন। একই সঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে নিজের কেন্দ্রের মানুষকে সতর্ক করলেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার বিধায়ক।

একুশের বিধানসভা ভোটে জয়ী এই বিজেপি প্রার্থী নিজে ১০০ দিনের কাজ করেছেন। স্বামীও দিনমজুর। সারাদিন খেটেখুটে ৪০০ টাকা রোজগার করেন। বিজেপির এই অতি দরিদ্র বিধায়ক বাঁকুড়া শালতোড়া একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাঁচা বাড়িতে থাকেন। জায়গা জমি বিশেষ নেই। সম্ববল বলতে ছাগল, তিনটি গরু আর একটি মাটির ভিটেবাড়ি। এবারের ভোটে তিনিই সবচেয়ে গরিব প্রার্থী বলে চিহ্নিত হন। নির্বাচনী হলফনামায় জানিয়েছিলেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে মাত্র ৩১ হাজার ৯৮৫ টাকা।

আরও পড়ুন:  সিংহ হৃদয়: লকডাউনে কর্মহীন রিকশা চালকদের পুরো বেতন দান সিভিক ভলান্টিয়ারের

বিধায়কের বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ নেই। নেই শৌচাগার। পড়াশোনায় ভালো ছিলেন চন্দনা। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার কারণে মাধ্যমিক পাশ করে ছেদ টানতে হয় পড়াশোনায়। এখন তিন সন্তানের মা তিনি। এহেন চন্দন বাউরি জানালেন সুকে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে তিনি সবসময় থাকবেন। যথাসাধ্য কাজ করবেন