CM Mamata Banerjee: বাতিল জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক, আকাশপথেই বন্যা কবলিত বাঁকুড়া দর্শন মুখ্যমন্ত্রীর
Bengal Flood: সূত্রের খবর, আকাশপথেই বাঁকুড়ার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার ওই চারটি ব্লক পরিদর্শনে আসতে পারেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাঁকুড়া: পুজোর আগেই প্লাবিত বঙ্গ (Bengal Flood)। ভেসে গিয়েছে একের পর এক নদী। জেলায় জেলায় বাঁধ বিপত্তি। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আকাশপথেই বড়জোড়ার ঘুটঘুড়িয়াতে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানেই জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল। কীভাবে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়েই ছিল বৈঠক। তবে শেষ মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। বদলে, আরামবাগে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে নামতে পারে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) কপ্টার।
সূত্রের খবর, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজ, শনিবার, দামোদরের তীরবর্তী সোনানুখী, বড়জোড়া, পাত্রসায়র ও ইন্দাস এই চার ব্লকের গ্রামগুলি পরিদর্শন করার কথা ছিল। দুপুর ১২ টার পরেই বাঁকুড়াতে আসতেন মমতা। তবে জানা গিয়েছে, শেষ মুহূর্তে তা বাতিল করা হয়। কেন এই সিদ্ধান্ত বদল তা যদিও স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, আকাশপথেই বাঁকুড়ার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার ওই চারটি ব্লক পরিদর্শনে আসতে পারেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের বানভাসি পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকেই (DVC) দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “ঝাড়খণ্ডের বোঝা বইতে হচ্ছে বাংলাকে।” তিনি অভিযোগ করেন, না জানিয়ে ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া পাপ। পাল্টা, মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) অভিযোগকে সঠিক নয় বলেই দাবি করেছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন তথা ডিভিসি।
ডিভিসি সূত্রে খবর, মাইথন জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কিউসেক করা হয়েছে। দিনে মোট দেড় লক্ষ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এই হারেই জল ছাড়ার পরিমাণ বজায় রেখেছে ডিভিসি। অন্যদিকে, পাঞ্চেত ড্যাম থেকে জল ছাড়া হচ্ছে ৩৫ হাজার কিউসেক হারে। ঝাড়খণ্ডে যদি ফের বৃষ্টি হয় তবে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে জল ছাড়া হচ্ছে। বঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি ম্যান-ম্যাড বলে অভিযোগ করেছেন মমতা।
দু’মাস আগে বন্যা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসি ইস্যুতে সরকারিভাবে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। চারপাতা সেই চিঠির প্রথম লাইনেই মুখ্য়মন্ত্রী লিখেছেন এই বন্যা ‘ম্যান মেড’। পশ্চিমবঙ্গের ভৌগোলিক সীমারেখা স্পষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ডিভিসির জল ছাড়ার জন্যই ডুবতে বসেছে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জেলা। যদিও পাল্টা ডিভিসির পক্ষ থেকে সে সময় জানানো হয়েছিল, রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে একটুও জল ছাড়ে না তারা। জল ছাড়ার পুরো বিষয়টিই রাজ্যের গোচরে রয়েছে। এবারও সেই একই তত্ত্ব খাঁড়া করেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্গত এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও এনডিআরএফ টিম। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে পৌঁছেছে ২ কলম সেনা। দুর্গতদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৮ হাজার মানুষ দুর্গম এলাকা থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এই খবরটি সম্প্রচারিত হওয়ার সময়ই খবর আসে, হাওড়ার নরনারায়ণচকের একটি বাঁধ ভেঙে ভেসে যায় গোটা গ্রাম।
ইতিমধ্যেই নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। জেলাশাসক ও পুলিশ সুুপারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। বৈঠকে ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় দুর্গতদের উদ্ধারে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, নামানো হয়েছে এনডিআরএফ টিম।
আরও পড়ুন: Adir Chowdhury: ‘দিদির মুখে গ্যাস ভরছেন ঝুলন দাদু’, পিকে-কে তীব্র কটাক্ষ অধীরের
আরও পড়ুন: North Bengal: অজানা জ্বরে জবুথবু উত্তরবঙ্গ, কোন জেলায় কত আক্রান্ত, জানাল স্বাস্থ্য দফতর