বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার খাতড়া থানার দেদুয়া গ্রামে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্রমশই ঘোরালো হচ্ছে রাজনৈতিক বিতর্ক। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি এই মৃত্যুর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। একই দাবি করেছেন রাজ্য প্রশাসনের কর্তারাও। যদিও সেই দাবি মানতে নারাজ মৃতের পরিবার ও বিজেপি। মৃতের পরিবারের সঙ্গেই বিজেপির দাবি, বিজেপি কর্মী হওয়াতেই তৃণমূল পিটিয়ে খুন করেছে।
গত মঙ্গলবার বাঁকুড়ার খাতড়া থানার দেদুয়া গ্রামে মৃত্যু হয় বছর ৬৯ বয়সী বঙ্কু মাহাতোর। বঙ্কু মাহাতোকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে দাবি করে মৃতের পরিবার খাতড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতারও করে। কিন্তু বঙ্কু মাহাতোর মৃত্যুর পরই মৃত্যুর কারণ নিয়ে শুরু হয় জলঘোলা। প্রথমে মৃতের পরিবার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদের জেরে ওই ব্যক্তিকে খুন করার দাবি তুললেও পরে পরিবার দাবি করে বঙ্কু মাহাতো বিজেপির সক্রিয় কর্মী হওয়ায় তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউতোর। প্রাথমিক তদন্তের পর বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া জেলা পুলিশ এক্স হ্যান্ডেলে স্পষ্ট জানায় বঙ্কু মাহাতোর মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতির কোনো যোগ নেই, জমিতে গাছ কাটা নিয়ে বিবাদের জেরেই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
রাজ্যের প্রশাসনিক আধিকারিকেরাও বিষয়টিকে অরাজনৈতিক বলে দাবি করেছেন। একই দাবি করেছেন এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিও। যদিও প্রশাসন ও শাসক দলের সেই দাবি কোনোভাবেই মানতে নারাজ মৃতের পরিবার ও বিজেপি নেতৃত্ব। মৃতের পরিবারের দাবি, বিজেপি করার জন্যই খুন করা হয়েছে বঙ্কু মাহাতোকে। গাছ কাটা সংক্রান্ত বিবাদকে ইস্যু করেই রাজনৈতিক আক্রোশ মিটিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির দাবি, ঘটনাকে জমি বিবাদ বলে দেখিয়ে আসল কারনকে আড়াল করার চেষ্টা করছে পুলিশ।