AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bankura Road: পঞ্চায়েত থেকে বিধায়ক, সাড়া দেয়নি কেউ! বৃষ্টি শুরু হতেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল গ্রামবাসীরাই

Bankura Road: গ্রামবাসীরা বলছেন, গত ২ বছর ওই রাস্তার হাল এতটাই খারাপ হয়েছে যাতায়াত করাই কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। পথশ্রী প্রকল্প বা অন্য কোনও সরকারি প্রকল্পে ওই রাস্তা পাকা করার দাবি নিয়ে বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি।

Bankura Road: পঞ্চায়েত থেকে বিধায়ক, সাড়া দেয়নি কেউ! বৃষ্টি শুরু হতেই বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল গ্রামবাসীরাই
নিজেরাই কাজে লাগালেন গ্রামবাসীরা Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 24, 2025 | 3:46 PM
Share

বাঁকুড়া: গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে স্থানীয় বিধায়ক, সর্বস্তরে আবেদন জানিয়েও হয়নি কোনও লাভ। হাল ফেরেনি গ্রামের মূল যাতায়াতের রাস্তার। এদিকে বিগত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, যা অবস্থা তাতে যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। বাধ্য হয়ে ঝুড়ি কোদাল হাতে রাস্তা সংস্কারে কাজে নেমে পড়লেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হাত লাগালেন পঞ্চায়েত সদস্য। নিজেরাই মাটি ও মোড়াম ফেলে রাস্তার খানাখন্দ বোজালেন। ঘটনা বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের গোপালপুর গ্রামের। 

বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের গোপালপুর মোড় থেকে গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটারের এই রাস্তা এখনও পাকা হয়নি। এদিকে গোপালপুর গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা এটাই। সেই রাস্তায় এক দশক আগে মোড়াম পড়েছিল। রাস্তা পাকা হওয়া তো দূরে থাক গত এক দশকে এক কোদাল মাটিও পড়েনি বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। প্রতি বছর বর্ষায় অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। 

গ্রামবাসীরা বলছেন, গত ২ বছর ওই রাস্তার হাল এতটাই খারাপ হয়েছে যাতায়াত করাই কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। পথশ্রী প্রকল্প বা অন্য কোনও সরকারি প্রকল্পে ওই রাস্তা পাকা করার দাবি নিয়ে বারবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। দরবার করা হয়েছে স্থানীয় মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে স্থানীয় বিধায়কের কাছেও। কিন্তু, লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা নিজেরাই এদিন ঝুড়ি কোদাল হাতে নেমে পড়েন রাস্তায়। মাথায় করে মাটি বয়ে এনে রাস্তার খানাখন্দ ভরাট করা শুরু করেন তাঁরা। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় মণ্ডল গ্রামের রাস্তার বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। নিজেও কাজে হাত লাগিয়েছেন। তাঁর দাবি, রাস্তাটি পাকা করার জন্য পথশ্রী প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলে কাজ হবে।