বাঁকুড়া: আবারও দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু। বাঁকুড়ায় এক দলীয় কর্মসূচি থেকে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমরা সংগঠন জানি, আন্দোলন জানি, কিন্তু ভোট করাতে জানি না।” দিলীপের এ হেন আত্ম সমালোচনার সুর ঘিরে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে। লোকসভা ভোটের পর থেকে দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি।
রবিবার বিষ্ণুপুরে যদুভট্ট মঞ্চে নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনার সময়ে দলীয় কর্মীদের অনভিজ্ঞতাকে দায়ী করেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, “গতবার আমাদের লড়াইয়ের কারণেই আমরা ৭৭-এ পৌঁছেছিলাম। ভেবেছিলাম এবার আরও বেশি হবে। কিন্তু হয়নি। তার মানে কোথাও ফাঁক আছে। আমাদের অভিজ্ঞতা কম আছে। আমরা সংগঠন জানি, আন্দোলন জানি, ভোট করাতে জানি না। ভোট কীভাবে করাতে হয় তা শিখতে হবে।” দিলীপ পরামর্শ দেন, প্রত্যেক নির্বাচন থেকে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।
এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিজেপি নতুন পার্টি। নতুন পার্টি বলতে, আমরা ২০১৭ সাল ২০১৮ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গে লড়াইয়ে আসতে শুরু করেছি। স্বাভাবিকভাবেই মানুষকে শিখতে সময় লাগে। মায়ের পেট থেকে তো সব শিখে আসে না। আমরা সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু শিখছি।”
যদিও শাসকদল তৃণমূল দিলীপ ঘোষের বক্তব্য নিয়ে রাজনীতি করতে ছাড়েনি। তৃণমূলের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর কথায়, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ, দীর্ণ একটা দলের নাম বিজেপি। নতুন করে ওদের ফাটল আবার সামনে এল। অরূপ মনে করিয়ে দেন, ২০১৯ সালে দিলীপ ঘোষ যখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, সেবার লোকসভা ভোটে গেরুয়া শিবির ১৮টি আসন জেতে বাংলা থেকে।
তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “দিলীপ ঘোষ যে ভোট করাতে জানতেন, ২০১৯-এর ফল তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। ২০২৪-এ সুকান্ত মজুমদার যতই রাজ্য সভাপতি থাকুন, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি ভোট করেছে। বিজেপির সকলেই জানেন। আজ দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে পরিষ্কার তিনি ভোট করাতে জানতেন, তাই ১৮টি আসন পান ২০১৯-এ। শুভেন্দু অধিকারী জানেন না, তাই এবার এমন ফল।”