AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Birsha Munda: মুখ্যমন্ত্রীর উন্মোচন করা মূর্তি নাকি শিকারির! বিরসা বিতর্কে ব্যুমেরাং এবার তৃণমূলের দিকে

Bankura: এই মূর্তিটিও বিরসা মুন্ডার নয় বলে দাবি করে ময়দানে নেমেছে একাধিক আদিবাসী সংগঠন। তৃণমূলের পালটা দাবি নবনির্মীত মূর্তি আসলে বিরসা মুন্ডারই।

Birsha Munda: মুখ্যমন্ত্রীর উন্মোচন করা মূর্তি নাকি শিকারির! বিরসা বিতর্কে ব্যুমেরাং এবার তৃণমূলের দিকে
বাম পাশে ২০২০ সালে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মালা দিয়েছিলেন অমিত শাহ, ডানদিকে, ২০২২ সালে মূর্তি উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (নিজস্ব ছবি)
| Updated on: Nov 15, 2022 | 4:36 PM
Share

বাঁকুড়া: গত বিধানসভা নির্বাচন। বাঁকুড়ার বিরসা মূর্তি বিতর্কে তোলপাড় হয়েছিল সারা রাজ্য। বাঁকুড়ায় রাজনৈতিক সফরে গিয়ে অমিত শাহ বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে যে মূর্তিতে মালা দিয়েছিলেন তা বিরসার নয় বলে দাবি করে রাস্তায় নেমেছিল তৃণমূল ও একাধিক আদিবাসী সংগঠন। এবার সেই একই বিতর্ক তৈরি হল বাঁকুড়া জেলা পরিষদের তরফে বসানো একটি মূর্তিকে ঘিরে। এই মূর্তিটিও বিরসা মুন্ডার নয় বলে দাবি করে ময়দানে নেমেছে একাধিক আদিবাসী সংগঠন। তৃণমূলের পালটা দাবি নবনির্মীত মূর্তি আসলে বিরসা মুন্ডারই।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরির বিতর্কিত মন্তব্যে এমনিতেই আদিবাসীদের রোষের মুখে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। একই ইস্যুতে অল আউট আক্রমণে নেমেছে বিরোধী বিজেপিও। নির্বাচনের আগে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেও। এরপর আদিবাসী ক্ষোভ সামাল দিতে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ককে নিজেদের পক্ষে টানতে যখন শাসক দল মরিয়া। ঠিক সেই সময় মুন্ডা বিদ্রোহের অন্যতম নেতা বিরসা মুন্ডার মূর্তি বিতর্ক নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলল তৃণমূলকে।

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাঁকুড়ায় গিয়ে পুয়াবাগান মোড়ে থাকা একটি মূর্তিকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি বলে দাবি করে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। যা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। একাধিক আদিবাসী সংগঠনের পাশাপাশি তৃণমূল ওই মূর্তিটি বিরসা মুন্ডার নয় বলে দাবি করে। সাধারণ এক শিকারি মূর্তিকে বিরসা মুন্ডা হিসাবে শ্রদ্ধা জানিয়ে অমিত শাহ আদিবাসীদের অপমান করেছেন এই দাবি তুলে আন্দোলনে নামে তৃণমূল। পাশাপাশি ‘বহিরাগত’ যুক্তিও খাঁড়া করে তৃণমূল। সে সময়ই তৃণমূলের তরফে পুয়াবাগান মোড়ে আসল বিরসা মুন্ডার চল্লিশ ফুটের মূর্তি বসানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে সেই মূর্তি বসানো হয় পুয়াবাগান মোড়ে। বেলপাহাড়ির সভা থেকে আজ সেই মূর্তি ভার্চুয়ালি উন্মোচন করার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু তৃণমূল ও বাঁকুড়া জেলা পরিষদকে অস্বস্তিতে ফেলে ওই মূর্তি বিরসা মুন্ডার নয় দাবি করে গতকাল বিকাল থেকে আন্দোলনে নামে আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন আদিবাসী বিকাশ পরিষদ।

পুয়াবাগান মোড়ে ওই সংগঠনের কর্মীরা বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভও দেখান। বিক্ষোভকারীদের দাবি প্রথমত প্রতিশ্রুতি মতো চল্লিশ ফুটের মূর্তি বসানো হয়নি। দ্বিতীয়ত, যে মূর্তিটি বিরসা মুন্ডার বলে বসানো হয়েছে তা বিরসা মুন্ডার মূর্তিই নয়। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘এটা বিরসা মুন্ডার মূর্তিই নয়। শিকারীর মূর্তি। আর চল্লিশ ফুটের মূর্তি বসাবে বলেছিল সেটা বসায়নি।’ যদিও, তৃণমূলের দাবি যে মূর্তিটি বসানো হয়েছে তা আসলে বীরসা মুন্ডারই। বিভিন্ন রূপে বীরসাকে দেখা গিয়েছে। সেই রকমই মূর্তি এটি। প্রতিবাদকারীদের বিজেপির লোক বলেও উল্লেখ করতে কসুর করেনি তৃণমূল। বিজেপির দাবি আদিবাসীদের ভগবান বিরসা মুন্ডাকে নিয়ে তৃণমূল অযথা রাজনীতি করছে।