
বাঁকুড়া: সুডার সমীক্ষায় ডেঙ্গি বাহিত মশার লার্ভা মিলতেই তৎপর বাঁকুড়া পুরসভা, ময়দানে নেমে জমা জল সরালেন খোদ পুরপ্রধান, ‘নাটক’ কটাক্ষ বিজেপির। চাপানউতোর শুরু জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিন এক্কেবারে বাড়ি বাড়ি ঘুরে জমা জল সরাতে দেখা গেল খোদ বাঁকুড়ার পুরপ্রধানকে। পুরসভার এই উদ্যোগকেই নাটক বলে তোপ দেগেছেন এলাকার বিজেপি নেতা দেবাশিস দত্ত।
প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে বাঁকুড়া পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহামারির আকার নিয়েছিল ডেঙ্গি। ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছিল বাঁকুড়া পুরসভা ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে। তারপর থেকেই প্রতি বছর বর্ষার আগেই ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা নেয় বাঁকুড়া পুরসভা। চলতি বছর বর্ষা শুরুর আগেই সুডা ( স্টেট আরবার ডেভলপমেন্ট এজেন্সি) ডেঙ্গি নিয়ে বাঁকুড়া পুর এলাকায় সমীক্ষা শুরু করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে জমা জলের নমুনা ও জমা জলে থাকা মশার লার্ভা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠানো হয়। সম্প্রতি সুডা বাঁকুড়া পুরসভায় রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টে বাঁকুড়ার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের চটপুকুর এলাকায় ডেঙ্গি বাহিত মশার লার্ভার উপস্থিতির কথার উল্লেখ রয়েছে।
ইতিমধ্যে শহরের ১০ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্ত দুই রোগীর দেখে মিলেছে। তারপরই নড়েচড়ে বসে বাঁকুড়া পুরসভা। এদিন সকালে বাঁকুড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার দলবল নিয়ে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের চটপুকুর এলাকায় যান। বাড়ি বাড়ি ঘুরে জমা জল নিজে হাতে ফেলে দেন। পুরসভার তরফে বাজেয়াপ্ত করা হয় পরিত্যাক্ত টায়ার ও অব্যবহৃত পাত্র। পুরপ্রধানের দাবি, বর্ষার আগে ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরসভা সবদিক থেকেই তৈরি। সে কারণেই এই বিশেষ অভিযান। যদিও বিজেপি বলছে, বর্ষার অনেক আগে থেকেই পুরসভার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু পুরসভা তা না করে এখন এলাকায় অভিযানের নামে নাটক করছে। লোক দেখাতেই এসব করা হচ্ছে।