Minister’s husband beaten: মুদিবাজার করতে গিয়ে মার খেলেন মন্ত্রী জ্যোৎস্নার স্বামী
Minister's husband beaten: মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যার কিছু পরে খাতড়া বাজারে লাঠিসোঁটা নিয়ে জমায়েত করেছিলেন বিজেপির বেশ কিছু লোকজন। সেই সময় মুদিখানার সামগ্রী কিনতে বাজারে যান মন্ত্রীর স্বামী তুহিন মান্ডি।

বাঁকুড়া: রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির স্বামীকে মারধরের অভিযোগ। গতকাল রাতে বাঁকুড়ার খাতড়া বাজারে মন্ত্রীর স্বামী তুহিন মান্ডির উপর হামলার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনায় ৬ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে খাতড়া থানার পুলিশ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
জ্যোৎস্না মান্ডির অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যার কিছু পরে খাতড়া বাজারে লাঠিসোঁটা নিয়ে জমায়েত করেছিলেন বিজেপির বেশ কিছু লোকজন। সেই সময় মুদিখানার সামগ্রী কিনতে বাজারে যান মন্ত্রীর স্বামী তুহিন মান্ডি। অভিযোগ, বাজার করার সময় আচমকাই বিজেপির ১৫ -১৬ জন কর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর স্বামীর উপর হামলা চালায়। পিঠে ও ডান হাতে গুরুতর আঘাত পান মন্ত্রীর স্বামী। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে গতকাল রাতেই খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়।
এই নিয়ে খাতড়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের এদিন খাতড়া মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ। মন্ত্রীর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর সেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাঁর স্বামীর উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক লড়াই থাকতে পারে। কিন্তু, ব্যক্তিগত আক্রমণ ঠিক নয়। আমার স্বামী রাজনীতি করেন না। এই ঘটনায় আমি মর্মাহত।” গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায়ও বিজেপিকে আক্রমণ করে জ্যোৎস্না মান্ডি লিখেছিলেন, “বিজেপির ঔদ্ধত্য এবার সীমাহীন। প্রকাশ্যে খাতড়া শহরে বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর হাতে আক্রান্ত আমার স্বামী। বিজেপির এই ঘৃণ্য রাজনীতি রাজনৈতিক গণ্ডি ছাড়িয়ে আজ ব্যক্তিগত সীমানা লঙ্ঘন করল। খাতড়াবাসী আগামী দিনে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে এর জবাব দেবে।”

জ্যোৎস্না মান্ডি
যদিও মন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক দীপক দাস বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায় খাতড়া বাজারে তৃণমূলের গুন্ডারা বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়। হামলা প্রতিহত করার জন্য রুখে দাঁড়ায় বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাফ নেমে লাঠিচার্জ করে। সেই সময় লাঠির আঘাতে অথবা তৃণমূলেরই কোনও কর্মীর লাঠির আঘাতে মন্ত্রীর স্বামী আহত হয়ে থাকতে পারেন। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।”

