BJP: বিধায়ক বলছেন ‘যন্ত্র রাখুন’, জেলা সভাপতি বলছেন ‘গণতন্ত্রের চাকুতে শান দিন’, চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি
BJP: মুর্শিদাবাদে হিংসা ও চাকরি চুরি ইস্যুতে শুক্রবার বাঁকুড়ার ওন্দায় মহামিছিল করে বিজেপি। সেখানেই স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা চাকরি চুরিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের ঘাড় ধরে টাকা আদায়ের নিদান দেন। গর্জে উঠেছেন প্রাক্তন সাংসদ থেকে জেলা সভাপতি।

বাঁকুড়া: মুর্শিদাবাদে হিন্দুদের উপর আক্রমণ ও রাজ্যে চাকরি চুরির ইস্যু ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। মুর্শিদাবাদ ইস্যুতে বাঁকুড়ায় প্রকাশ্যে বিধায়ক যখন প্রত্যেককে সঙ্গে যন্ত্র রাখার নিদান দিলেন সেই একই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি বললেন প্রত্যেকে গনতন্ত্রের চাকুতে শান দিয়ে রাখুন। সব মিলিয়ে সরগরম জেলার রাজনৈতিক মহল।
বিধায়কের নিদান চাকরি চুরির ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের প্রকাশ্যে আছড়ে মারতে হবে। একধাপ এগিয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আবার অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের জামা কাপড় খুলে প্রকাশ্যে বিছুতি দিয়ে চাবুক মারার নিদান দিলেন।
মুর্শিদাবাদে হিংসা ও চাকরি চুরি ইস্যুতে শুক্রবার বাঁকুড়ার ওন্দায় মহামিছিল করে বিজেপি। সেখানেই স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা চাকরি চুরিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের ঘাড় ধরে টাকা আদায়ের নিদান দেন। শুক্রবারের পর শনিবারও হয় মিছিল। বাঁকুড়ার মাচানতলায় আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে গর্জে ওঠেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। চাকরিহারাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা রাস্তায় নামুন। আমাকে ডাকবেন। আপনাদের যে যে টাকা নিয়েছে তাদের জামার কলার ধরে এই মাচানতলায় নিয়ে এসে আছাড় দিয়ে তাদের মারতে হবে”। বিধায়কের পর বক্তব্য রাখতে ওঠেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীও। গর্জে ওঠেন তিনিও। বলেন, “চাকরির জন্য কে কে টাকা নিয়েছে তাঁদের নাম আমাদের গোপনে জানান। তাঁদের এই মাচানতলায় নিয়ে এসে প্রকাশ্যে জামাকাপড় খুলে জলবিচুতি দিয়ে চাবুক মারতে হবে।”
মুর্শিদাবাদের প্রসঙ্গ টেনে নিলাদ্রী শেখর দানা বলেন, “নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য প্রত্যেকে হাতে যন্ত্র রাখুন”। যদিও বিধায়ক যন্ত্র বলতে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট করেননি। বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আবার গনতন্ত্রের চাকুতে শান দিয়ে রাখার নিদান দিয়েছেন। যদিও সভাপতির দাবি, গণতন্ত্রের চাকু বলতে তিনি ভোটারদের ভোটাধিকারের শক্তিকে বোঝাতে চেয়েছেন। তবে পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েনি তৃণমূলও। বিজেপি যত জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে ততই এইভাবে উন্মাদের মতো প্রলাপ বকছে। এইসব কথার কোনো গুরুত্ব নেই। এ ভাষাতেই খোঁচা দিয়েছেন এলাকার তৃণমূল নেতারা।
