National Commission for Women: চুরি-ডাকাতি নয়, তার থেকেও ভয়ঙ্কর কাজ করে বেশি জেল হচ্ছে মহিলাদের! কপালে চিন্তার ভাঁজ মহিলা কমিশনের
National Commission for Women: বাঁকুড়া জেলায় অনুপ্রবেশ, চুরি, ডাকাতি বা এই ধরনের অপরাধে মহিলাদের যুক্ত থাকার রেকর্ড বেশ কম। বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দিদের পরিসংখ্যান দেখলেই তা স্পষ্ট হয়। এই পরিসংখ্যান জাতীয় মহিলা কমিশনকে স্বস্তি দিলেও উদ্বেগ তৈরি করেছে অন্য জায়গায়।

বাঁকুড়া: চুরি-ডাকাতিতে বিশেষ নাম নেই, কিন্তু নাম অন্য জায়গায়। সিংহভাগ মহিলা কয়েদিরই নাম সেই তালিকায়। বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগার ঘুরে কপালে চিন্তার ভাঁজ জাতীয় মহিলা কমিশনের। এদিন জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাঁকুড়া সংশোধনাগারে যান। সেখানে মহিলা বন্দীদের জীবন যাপন ও পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন। তারপরই একের পর এক মহিলা বন্দির পারিবারিক হিংসায় যুক্ত থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশও করতে দেখা যায় অর্চনা দেবীকে।
বাঁকুড়া জেলায় অনুপ্রবেশ, চুরি, ডাকাতি বা এই ধরনের অপরাধে মহিলাদের যুক্ত থাকার রেকর্ড বেশ কম। বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দিদের পরিসংখ্যান দেখলেই তা স্পষ্ট হয়। এই পরিসংখ্যান জাতীয় মহিলা কমিশনকে স্বস্তি দিলেও উদ্বেগ তৈরি করেছে পারিবারিক হিংসায় মহিলাদের যুক্ত থাকার পরিসংখ্যান। উদ্বেগ প্রকাশ করেন অর্চনা মজুমদার।
এদিন বাঁকুড়া সংশোধনাগার পরিদর্শনের পর জাতীয় মহিলা কমিশনের অর্চনা দেবী বলেন, বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দি মহিলা কয়েদি রয়েছে ২৬ জন। এই ২৬ জনের মধ্যে প্রায় ২০ জনই পারিবারিক হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত। বেশিরভাগের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ রয়েছে। ৮ জন সাজাপ্রাপ্ত মহিলা কয়েদির বিরুদ্ধেই পারিবারিক হিংসা এবং খুনের অভিযোগ রয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের দাবি, এই পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যায় পারিবারিক হিংসা এমন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে যে খুনখুনি হয়ে যাচ্ছে। তার আগে তা কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনকে আরও উদ্যোগী হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে মত মহিলা কমিশনের।
