Bankura Road Accident: বুকের উপর দিয়ে চলে গেল ডাম্পারের ভারী চাকা, পথেই একসঙ্গে শেষ দিদা-নাতি

Bankura: এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ওই ঘাতক ডাম্পারে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়েন পুলিশও।

Bankura Road Accident: বুকের উপর দিয়ে চলে গেল ডাম্পারের ভারী চাকা, পথেই একসঙ্গে শেষ দিদা-নাতি
পথেই মৃত্যু দিদা-নাতির (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2022 | 5:54 PM

বাঁকুড়া: নাতিকে নিয়ে টোটো করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথেই যে অকালে প্রাণ চলে যাবে এমনটা হয়ত ভাবতেও পারেননি। মর্মান্তিক মৃত্যু এক বৃদ্ধা ও শিশুর। বালি ভর্তি ডাম্পারের ধাক্কায় এক শিশু-সহ দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। মৃতের নাম তৃপ্তি ঘোষ (৫৫) ও মৃন্ময় ঘোষ (৫)। মৃত তৃপ্তি দেবী ও তন্ময় সম্পর্কে দিদা-নাতি। ঘটনাটি বাঁকুড়া জেলার ওন্দা থানার মিত্তিরবাঁধ এলাকায়। এই ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ওই ঘাতক ডাম্পারে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে উত্তেজিত জনতার রোষের মুখে পড়েন পুলিশও। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের গাড়িতেও ভাঙচুর চালায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পঞ্চান্নর তৃপ্তি ঘোষ। তাঁর পাঁচ বছরের নাতি মৃন্ময় ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে শ্যামপুর থেকে টোটোয় উঠেছিলেন। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে তাঁরা টোটোয় করে রতনপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই সময়ই মিত্তিরবাঁধের কাছে উল্টোদিক থেকে দ্রুত গতিতে একটি বালি ভর্তি ডাম্পার আসছিল। দ্রুত গতিতে আসা ডাম্পারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোটোয় ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই উল্টে যায় টোটোটি। জখম হন টোটো চালক। ডাম্পারের পিছনের চাকায় পিষ্ট হন ওই মহিলা-সহ শিশু। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁদের। জানা গিয়েছে, মৃতদের বাড়ি ওন্দা থানার বালিগুমা এলাকায়।

এদিকে, গোটা ঘটনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। উত্তেজিত জনতা ওই ডাম্পারে ভাঙচুর চালায়। দুর্ঘটনার পরই ঘাতক ডাম্পারের চালক ও খালাসি গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা ওই ঘাতক গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

এলাকাবাসীর মূল বক্তব্য, দুর্ঘটনার পর খানিকটা সময় কেটে গেলেও পুলিশ আসেনি। সিভিক কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে বলে তাঁদের দাবি। এরপর পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেলে বাধা দেওয়া হয় বলে খবর। অভিযোগ ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িতেও। পরেই বাঁকুড়া থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ মৃতদেহ তুলে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্তেরর জন্য পাঠায়। এদিকে দিদা-নাতির মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া বালিগুমা এলাকায়।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘পুলিশে ভরসা নেই, বাঁশ কেটে তৈরি বিজেপি কর্মীরা’ পুরভোটের আগে দিলীপের নতুন দাওয়াই

আরও পড়ুন: Municipal Election: ডাক নামই প্রচারের অস্ত্র, বাড়ি-বাড়ি ভোট চাইতে যাচ্ছেন ভুলু, টয়, ফণি, ভজন, বটারা…