AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Municipal Election: ডাক নামই প্রচারের অস্ত্র, বাড়ি-বাড়ি ভোট চাইতে যাচ্ছেন ভুলু, টয়, ফণি, ভজন, বটারা…

Hooghly: হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার ৩০টি ওয়ার্ড। ওয়ার্ড গুলি ঘুরলেই দেখা যাবে এখানে-ওখানে ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন।

Municipal Election: ডাক নামই প্রচারের অস্ত্র, বাড়ি-বাড়ি ভোট চাইতে যাচ্ছেন ভুলু, টয়, ফণি, ভজন, বটারা...
ডাক নামেই প্রচারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2022 | 5:06 PM
Share

হুগলি: কারোর নাম ভুলু, কেউ ভজন, কেউ টয়, কেউ বা যদু । পুরভোটের প্রচারে এবার জনপ্রিয় এই নামগুলি। এখন প্রশ্ন এরা কারা? এইবছর পুরভোটে প্রার্থী হয়েছেন এই সকল ব্যক্তিরা। তবে এদের ভালো নাম এলাকাবাসীর মধ্যে অতটা জনপ্রিয় না হলেও এইসকল ডাক নামে কিন্তু এদের প্রত্যেকেই চেনেন। আর নামে যে অনেক কিছুই এসে যায় তা বোঝা যায় স্থানীয় নির্বাচনে।

হুগলির চুঁচুড়া পুরসভার ৩০টি ওয়ার্ড। ওয়ার্ড গুলি ঘুরলেই দেখা যাবে এখানে-ওখানে ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। ভোটে যে কাছে এসে গিয়েছে দেওয়াল লিখনেই তা স্পষ্ট প্রমাণ মিলবে। তবে এখানে রয়েছে একটি বিশেষত্ব। দেওয়ালের পাশে লেখা প্রার্থীদের ডাক নাম। কিন্তু কেন? এলাকায় এই সকল প্রার্থীদের ভালো নামের থেকেও বেশী জনপ্রিয় তাঁদের ডাক নামগুলি।

কী কী নামে প্রচার হচ্ছে?

২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী গৌরীকান্ত মুখার্জী। তাকে এলাকায় সবাই চেনে ‘ভজন’ নামে। তাই দেওয়ালে গৌরীকান্তর প্রচারে ভজনের সমাহার। এরপর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তার ডাকনাম ‘ফনি’। ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী পার্থ চোংদার তার ডাকনাম ‘ভুলু’। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির যুব প্রার্থীর নাম অমিত মাল তার ডাকনাম ‘বুড়ো’। ১২  তৃণমূলের দাঁড়িয়েছেন অরূপ বন্দ্যোপাধ্যায় তার ডাকনাম দুষ্টু। ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর নাম কৌস্তভ পাত্র ডাকনাম টয়। ১৩ নম্বরে তৃণমূলের প্রার্থী জয়দেব অধিকারী তার ডাকনাম ‘যদু’। ২০ নম্বরে বিজেপি প্রার্থী ঋতব্রত সেনগুপ্ত তার আবার দুটো ডাকনাম গোবিন্দ আর ভাই দা। এমনই ৩০ নম্বরের তৃণমূলের সৌমিত্র ঘোষের ডাকনাম ‘পিল্টে’। ১৬ নম্বরে তৃণমূলের প্রার্থী অর্পিতা সাহার ডাকনাম ‘রোজি’। ১৫ নম্বরে তৃণমূল প্রার্থী ইন্দ্রজিৎ দত্তকে সবাই চেনে ‘বটা’ নামে।

সাধারণ ভোটারদের মতে পাশের বাড়ি ছেলেকে ভালো নামে অনেকেই চেনে না। ইভিএমে ভালো নাম লেখা থাকে। নাম দেখে ভোট দিতে গেলে অনেক সময় গুলিয়ে যায়। তাই প্রচারে ডাকনাম থাকায় ভোটারদের সুবিধা হয়। আবার প্রতিবেশি ছেলে বা মেয়েটির যে ভালো নাম সেটাও জানান হয়ে যায়। চুঁচুড়া পুরসভার বিদায়ী পুর প্রধান তথা ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী গৌরীকান্ত মুখার্জী বলেন, “পুর ভোট আসলে পাড়ার ভোট। পাড়ার মানুষই ভোটার। তারা ডাকনামেই চেনে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ আছে ডাক নামও রাখা যায়। আর ডাক নামটা খুবই নিবিড় আপন, আন্তরিকতা থাকলে তবেই ডাক নামে ডাকা হয়। তাই প্রার্থীরা ভোটের প্রচারে ডাক নামকেও ব্যবহার করেন।”

বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, “স্থানীয় যারা কর্যকর্তা রয়েছে,তাদেরকেই আমরা প্রার্থী করেছি। এই নির্বাচনে কিছু প্রার্থী আছে যাদের স্থানীয় লোকজন বাল্যকালের ডাক নামে চেনে। যেহেতু সেই নামে পরিচিত,তাই সেই নাম টাও সামনে রাখছি।”

আরও পড়ুন: Left Front Candidate: বয়স ‘নো ফ্যাক্টর’, সাইকেল চালিয়েই ভোট প্রচারে বছর আশির এই বাম প্রার্থী!