বাঁকুড়া: লোকসভা লোকসভা নির্বাচনের মুখে গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তি বাড়িয়ে ফের পোস্টার পড়ল বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র নামে। বিষ্ণুপুর শহরের রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এদিন সকালে পোস্টারগুলি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পোস্টারে সৌমিত্র খাঁ-কে, ‘দালাল, দুস্কৃতী, তোলাবাজ ও বিজেপি-র’ শত্রু বলে দাবি করা হয়েছে। পোস্টার দেওয়া নিয়ে পারস্পরিক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট এখনো ঘোষণা হয়নি। তার আগে সারা রাজ্যের পাশাপাশি রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ছে বাঁকুড়ার মল্লগড় বিষ্ণুপুরে। বিষ্ণুপুরের রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আজ ছাপানো পোস্টার পড়ার ঘটনায় সেই আগুনে যেন ঘি পড়ল।
আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন বাসস্ট্যান্ডের বিভিন্ন দেওয়াল ও ব্যানারে সাদা কাগজে কালো কালিতে ছাপা পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। পোস্টারে দলবদল করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া বিষ্ণুপুর ও কোতুলপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ও হরকালী প্রতিহারের দাদা হিসাবে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কে কটাক্ষ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাঁকে দুস্কৃতী,তোলাবাজ ও বিধানসভায় বিজেপির টিকিট বিক্রির মূল কান্ডারি হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে। এই পোস্টারগুলিকে বা কারা দিয়েছে তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। যদিও, সৌমিত্র খাঁ এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
যদিও, বিজেপির দাবি, বিষ্ণুপুর সহ সারা রাজ্যে পরাজয় নিশ্চিত বুঝতে পেরে তৃণমূল এই নোংরা রাজনীতি করছে। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন , “ওরা হেরে যাবে তাই নোংরা রাজনীতিতে নেমেছে। এই ভাবে তো জিততে পারবে না। এটা তো আর পঞ্চায়েত ভোট নয়।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের। তাঁদের দাবি এই পোস্টার আসলে বিজেপির অন্তর্কলহের বহিঃপ্রকাশ। তৃণমূলের বিষ্ণপুর সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয়। এটা ওদের গোষ্ঠী কোন্দলের ফল।”