Sayantika Banerjee : তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে সায়ন্তিকা, ‘একটু-আধটু হতেই পারে’, বলছেন ব্লক সভাপতি
Sayantika Banerjee : দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ দলেরই একাংশের।
বাঁকুড়া: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিকে ঘিরে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Trinamool Star Leader Sayantika Banerjee)। শনিবার বিকালে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বড়শাল এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। কিন্তু, সেখানে যেতেই ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। এ ঘটনার খবর চাউর হতেই অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদল তৃণমূলের।
শনিবার যথন বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন সায়ন্তিকা তখন তাঁর সঙ্গী হিসাবে ছিলেন স্থানীয় তৃনমূলের নেতা-কর্মীরা। কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে এলাকার চৌশাল উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে বেরিয়ে আসার সময় স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করার পরও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ডাক না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দলের অঞ্চল সভাপতি ও ব্লক সভাপতি দলের কোনও কর্মসূচিতে তাঁদের ডাকেন না। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়ে যান সায়ন্তিকা। কোনওক্রমে বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে এলাকা ছাড়তে হয় সায়ন্তিকা সহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের।
পরে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ক্ষোভ বিক্ষোভ কিছু হয়নি। একটি পরিবারে কারো মান অভিমান বা ঝগড়া হতেই পারে। কিন্তু দিনের শেষে আমরা একই পরিবারে থাকব। এর সুযোগ বিজেপি নিতে পারবে না।” তৃনমূলের ব্লক সভাপতি নিমাই মাজির দাবি, “দল বড় হয়েছে। এমন একটু-আধটু হতেই পারে। দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে।” অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, “তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। তাই নিচুতলার কর্মীরা বড় কোনও নেতা-নেত্রীকে দেখলেইবিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এটা তৃণমূলের জন্য অশনি সঙ্কেত।”