বিষ্ণুপুর: চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে প্রকাশ্যে স্বীকার করে এবার বিতর্কে জড়ালেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি তথা সোনামুখীর উপ পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ চাকরির জন্য তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও সোনামুখীর প্রাক্তন বিধায়ক দীপালি সাহা বেকার যুবকদের কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন। তার প্রমাণও তাঁর কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন তৃনমূলের ওই শ্রমিক নেতা। চাকরীতে দুর্নীতির ঘটনার ‘স্বীকারোক্তির’ পাশাপাশি এদিন স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামিকেও হুঁশিয়ারি দেন ওই শ্রমিক নেতা।
শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের পিছনে বাম ও বিজেপির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়ার সোনামুখিতেও পথে নামে তৃণমূল। মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভাও করেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরাও বলছি চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু সোনামুখীতে চাকরির নামে সেই সময় টাকা তুলেছেন তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক দীপালি সাহা ও তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। তাঁরা দু’জনেই এখন বিজেপিতে। সৌমিত্রর দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “তৃণমূলের সাংসদ থাকাকালীন চাকরির নামে মিথ্যাচার করে টাকা নিয়ে গিয়েছেন। একবার প্রেস মিট করে সেই ছেলেগুলোকে বসাব নাকি?”
চাকরিরর নামে ওই দু’জনের টাকা তোলার প্রমাণও রয়েছে বলে দাবf করেন তৃনমূলের ওই শ্রমিক নেতা। তাঁর এই বক্তব্য সামনে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির দাবি, “সৌমিত্র খাঁ যদি চাকরি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্যের সরকার! আসলে এই অভিযোগের কোনো সারবত্তাই নেই।”
সোমনাথ মুখোপাধ্যায় যদিও দিবাকর ঘরামির উদ্দেশ্যে বলেন, “ও এখন থানা ঘেরাও করে বাড়িতে অস্ত্র রাখার কথা বলছে। ২০২৬ সালে বিজেপি বিধায়ক ভোট চাইতে গেলে মা বোনেরা বঁটি কাটারি নিয়ে তেড়ে যাবেন।” পাল্টা দিবাকর বলছেন, “ছাব্বিশের নির্বাচনেই বোঝা যাবে ঝাঁটা বঁটি নিয়ে কে কাদের দিকে তেড়ে যাচ্ছে।” অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ-র সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।