West Bengal HS Result 2025: উচ্চমাধ্যমিকে গোটা রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম, বড় হয়ে কী হতে চায় সৃজিতা?
West Bengal HS Result 2025: খুশির হাওয়া স্কুলেও। খুশি অভিভাবকেরাও। ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী পড়ুয়া হিসাবেই পরিচিতি সৃজিতার। চোখে ইঞ্জিনয়র হওয়ার স্বপ্ন। এদিন রেজাল্ট বের হওয়ার পর সেই কথাই বললেন। সেই মতোই করছেন পড়াশোনা।

বাঁকুড়া: এক থেকে দশের মধ্যে রয়েছেন ৭২ জন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন বাঁকুড়ার সোনামুখি গার্লস হাইস্কুলের সৃজিতা ঘোষাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। সেই রাজ্যে মেয়েদের মধ্যে প্রথম। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে ঘোষণা করে দেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। মেয়ের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পরিবার। খুশির হাওয়া স্কুলেও। ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী পড়ুয়া হিসাবেই পরিচিতি সৃজিতার। চোখে ইঞ্জিনয়র হওয়ার স্বপ্ন। এদিন রেজাল্ট বের হওয়ার পর সেই কথাই বললেন। সেই মতোই করছেন পড়াশোনা।
হাসিমুখেই সৃজিতা বলছে, ‘প্রথম খবরটা তো বন্ধুদের মুখেই পাই। অনেকেই টেক্সট করে জানায়। আমি নিজে কিছু দেখিনি। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। ভাল রেজাল্ট হবে আশা করেছিলাম। কিন্তু তাই বলে এত ভাল র্যাঙ্ক হবে ভাবতে পারিনি।” স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি সব বিষয়েই গৃহশিক্ষক ছিল সৃজিতার। সঙ্গে নিজের মতো করে পড়াশোনা তো ছিলই। সৃজিতা বলছে, “বাধা ধরা কোনও নিয়ম ছিল না পড়া ক্ষেত্রে। তবে পড়াশোনার বাইরে এই ২ বছর কিছু করা হয়নি। আগে আঁকা, গান করতাম। পরবর্তীকালে ইঞ্জিনিয়রিং নিয়ে পড়ার ইচ্ছা আছে, এবার দেখা যাক।”
সৃজিতার বাবাও শিক্ষক। মা গৃহবধূ। মেয়ের সাফল্যে দারুণ খুশি মা-বাবাও। হাসিমুখে মেয়েকে মিষ্টি খাওয়াতে দেখা গেল মাকে। পাশে বসে ছবি তুললেন বাবাও। সৃজিতার কথায়, “অবশ্যই আমার সাফল্যের কৃতিত্ব মা-বাবকে দেব, সঙ্গে আমার নিজেরও অনেক চেষ্টা রয়েছে।” প্রসঙ্গত, এবার রাজ্যে পাশের হার ৯০.৭৯ শতাংশ। তারমধ্যে ছেলেদের পাশের হার ৯২.৩ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার ৮৮.১২ শতাংশ। তবে এবার পরীক্ষায় ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের সংখ্যা বেশি ছিল।
