Barrackpore: ‘অপরাধ আটকাতে হাতিয়ার সংস্কৃতি’, ব্যারাকপুরের ভোলবদলে পার্থর হাতে ‘ব্রহ্মাস্ত্র’
Barrackpore: বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত নৈহাটি ব্রাত্যজন নাট্যোৎসবের অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই বলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। তাঁর সুরেই সুর মেলাতে দেখা যায় ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকেও।

ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুর মানে কি? ভাটপাড়া, নৈহাটি, এমনকি খোদ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। খবরের শিরোনামে সর্বক্ষণ উঠে আসে একটাই কারণে। তা হল অপরাধ। এক সময়ে এই অপরাধ এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে সব সময় পুলিশকে গাড়ি নিয়ে টহল দিতে হত এলাকার একাধিক জায়গায়। কিন্তু ব্য়ারাকপুর মানে কি শুধুই অপসংস্কৃতি কিংবা অপরাধ? সাংসদ পার্থ ভৌমিক বলছেন, এই অপসংস্কৃতি আটকাতে হাতিয়ার সংস্কৃতি।
বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত নৈহাটি ব্রাত্যজন নাট্যোৎসবের অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই বলেন তিনি। তাঁর সুরেই সুর মেলাতে দেখা যায় ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকেও। তিনি বলেন, ‘ব্যারাকপুর কোন ক্রাইমের শহর নয়। এখানে অনেক ধরনের সুন্দর কাজ হয়।’
আগামী ২৫ থেকে ৩০ এপ্রিল আকাদেমি অফ ফাইন আর্টসে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নৈহাটি ব্রাত্যজন নাট্যোৎসব, যার কর্ণধার খোদ ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। তার উদ্যোগেই প্রতি বছর এই নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
বুধবার আয়োজকদের তরফ থেকে প্রকাশিত একটি প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসের ছায়া মুছে সংস্কৃতির আলোয় আলোকিত হচ্ছে ব্যারাকপুর। এই লোকসভার আওতায় মোট ৭টি বিধানসভা রয়েছে। যার মধ্য়ে আবার ৮০টির বেশি নাট্য়দল সক্রিয়ভাবে বছরের পর বছর কাজ করে চলেছে। এই নাট্য়দলগুলি নিয়মিত নাট্যচর্চা করে এবং বিভিন্ন সময়ে নাট্যোৎসব আয়োজন করে, যার মাধ্য়মে শুধুই বিনোদন নয়, সমাজসচেতনতাও ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে।’
সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই অঞ্চলের অধিকাংশ বিধায়করা নিজেরাও যুক্ত নাট্যচর্চার সঙ্গে। হালিশহর, নৈহাটি, জগদ্দল-সহ একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়করা বছর বছর ধরে নাট্যচর্চা করে চলেছেন। এমনকি, এই নাট্যোৎসবের অন্যতম দুই আয়োজক তথা ব্যারাকপুরের সাংসদ ও বিধায়ক, যথাক্রমে পার্থ ভৌমিক ও রাজ চক্রবর্তী উভয়েই নাটক, সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। সুতরাং, এটা বলাটা খুব স্বাভাবিক গুলি বোমার ব্যারাকপুর, ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে সংস্কৃতির ব্যারাকপুর।’





