Bagtui Massacre: অনুব্রতর ‘পছন্দের’ তালিকার প্রথমেই ‘নাপসন্দ’ আনারুলের নাম!

Rampurhat Murder: বিতর্কে মাঝে ভাইরাল আরও একটি চিঠি। রামপুরহাট পুরনির্বাচনে গঠিত কমিটির শীর্ষে আনারুলের নাম। চিঠিতে রয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের  (Anubrata Mondal) সই। পুর নির্বাচনের সময় এই কমিটি গঠিত হয়েছিল।

Bagtui Massacre: অনুব্রতর 'পছন্দের' তালিকার প্রথমেই 'নাপসন্দ' আনারুলের নাম!
অনুব্রত মণ্ডলের সই করা তালিকার শীর্ষে আনারুল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 02, 2022 | 12:00 AM

রামপুরহাট : বিতর্কে মাঝে ভাইরাল আরও একটি চিঠি। রামপুরহাট পুরনির্বাচনে গঠিত কমিটির শীর্ষে আনারুলের নাম। চিঠিতে রয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের  (Anubrata Mondal) সই। পুর নির্বাচনের সময় এই কমিটি গঠিত হয়েছিল। গতকাল অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই আনারুলকে ব্লক সভাপতির পদে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সেই নিয়ে বিতর্রক চাপানউতোরের মাঝে প্রকাশ্যে জেলা তৃণমূলের এই চিঠি। উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ, বৃহস্পতিবারই অনুব্রত মণ্ডল সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, বগটুইকাণ্ডে অভিযুক্ত আনারুল হোসেনকে তিনি দলে রাখতে চাননি। কিন্তু আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই তিনি আনারুলকে দলে রেখেছিলেন।

এরপর একটি চিঠি ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে পুরভোটের সময় যে কমিটি তৈরি হয়েছিল, তাতে সবার আগে নাম রয়েছে আনারুল হোসেনের। সেই তালিকায় সই রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। উল্লেখ্য, বগটুই কাণ্ড এবং তারপর আনারুল হোসেনের নাম জড়ানোয় এখন বেজায় বিপত্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। অস্বস্তিতে পড়েছেন অনুব্রত মণ্ডলও। রাজ্য রাজনীতিতে বীরভূম জেলাকে কার্যত অনুব্রত মণ্ডলের দূর্গ বলেই ধরে নেওয়া হয়। তার উপর দলের অন্দরে দক্ষ সংগঠক হিসেবেও যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে অনুব্রতর। এ হেন অনুব্রত মণ্ডল, যাঁর ভয়ে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায় বলে ধরে নেওয়া হয়, তাঁর চোখের আড়ালে, তাঁকে অজ্ঞাতসারে এত বড় একটা কাণ্ড কীভাবে ঘটতে পারে? তা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠছিল।

এমনকী কিছুদিন আগে জে পি নাড্ডার পাঠানো বিজেপি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টেও নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ করছে, বিজেপি সিবিআইয়ের তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে আনারুলকে ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে দ্বন্দ্বের মধ্যেই আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর এর দায় চাপাতে দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। গতকাল  বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি বলেছিলেন, “ভোটের রেজাল্ট খারাপ, মানুষের অভিযোগ আছে। তখন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি মুচলেকা লিখে দিচ্ছে ওকে পঞ্চায়েত পর্যন্ত রাখ। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বর্ষীয়ান নেতা, তাঁর বিধানসভার ব্যাপার। তাই তাঁর কথা আমি আর সরালাম না।” যদিও আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “এটি সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। সব সভাপতিকেই যাতে না পাল্টানো হয়, সেই আবেদন ছিল।”

শুক্রবার এই তালিকা প্রসঙ্গে বিষয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “পুরভোটে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় কমিটির নাম দিয়েছিলেন। এছাড়া বিকাশ রায় চৌধুরী সিউড়ি কমিটির নাম দিয়েছিলেন। চন্দ্রনাথ সিনহা বোলপুরের নাম দিয়েছিলেন। সাইথিয়ার নাম রাণা সিনহা দিয়েছিলেন। দুবরাজপুরের নাম দিয়েছিলেন সুদীপ্ত ঘোষ। আর গুসকরার নাম দিয়েছিলাম আমি।” কিন্তু ওই তালিকায় অনুব্রত মণ্ডলের সই থাকা নিয়ে প্রশ্ন করায় তাঁর জবাব, “সে তো সাইন থাকবেই। জেলা প্রেসিডেন্ট তো আমি।”

আরও পড়ুন : Biman Banerjee: বিধায়কদের সাসপেনশন ঘিরে ফের সংঘাত? বিধানসভায় চিঠি রাজ্যপালের

দেখুন ভিডিয়ো :