Birbhum News: অন্যের জমিতে নজর বান্ধবীর, আবদার মেটাতে মহিলার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
Birbhum News: বীরভূমের কামারপুর গ্রামে চার সন্তান নিয়ে সুখী বিবির সংসার। তাঁর স্বামী চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করেন। স্বামীর পাঠানো টাকা আর বিড়ি বেঁধে কোনও মতে সংসার চালান সুখী।

বীরভূম: বান্ধবীর পছন্দ জমি। তা পাইয়ে দেওয়ার জন্য কী না করছেন প্রেমিক। বীরভূমের কামারপুর গ্রামের মহিলার অভিযোগ, বান্ধবীর নামে জমি লিখে না দেওয়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তাঁর দলবল নিয়ে বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন। এখন অসহায় অবস্থায় সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষা করে দিন চলছে তাঁর। যদিও, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা।
বীরভূমের কামারপুর গ্রামে চার সন্তান নিয়ে সুখী বিবির সংসার। তাঁর স্বামী চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করেন। স্বামীর পাঠানো টাকা আর বিড়ি বেঁধে কোনও মতে সংসার চালান সুখী। নাম সুখী হলেও সুখ কোথায়? অভিযোগ, জাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য রীটন খাঁ জোর করে মহিলার জমি লিখয়ে নিতে চাপ দেন। মহিলা অস্বীকার করলে তাঁর বাড়ি ভেঙে-গুড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। নেতার ভয়ে এখন সন্তানদের নিয়ে গ্রাম ছাড়া সুখী। ফুটপাত রেল স্টেশনে দিন কাটছে তাঁর। পুলিশ ও ওই মহিলার পাশে দাঁড়ায়নি বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারী সুখী বিবি কাঁদতে-কাঁদতে বলেন, “আমার নামে লেখা জমি রয়েছে। এখন ওই পঞ্চায়েত সদস্যের যাঁর সঙ্গে ভালবাসা রয়েছে তিনি পঞ্চায়েতের মেম্বারের কাছে আবদার করে বলেছেন যে আমার নামের জায়গা ওনার চাই। জাগয়া ওনার নামে লিখে দিতে হবে। আমি বাধা দিলে ওই সদস্য বলেন, বগটুইয়ের মতো তোদেরকে পুড়িয়ে মারব।”
সুখী বিবি বলেন, “আমার অভিযোগ নেননি। মেরে ফেলার ভয় দেখাচ্ছে। থানার ওসিও ভয় দেখাচ্ছে। কত টাকা মেম্বার দিয়েছে কে জানে।” যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ওর আমার উপর রাগ রয়েছে। সেই কারণে মিথ্যা অভিযোগ করছে। রাজনৈতিকভাবে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” পঞ্চায়েত উপ-প্রধান রহিম মোল্লা বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এখানে মেম্বার জড়িত নয়। এটা ওদের ঘরোয়া ব্যাপার।” যদিও, মহিলাকে আইনি পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা ধ্রুব সাহা বলেন, “প্রয়োজনে আইনি পরিষেবা দরকার হলে আমরা বিজেপির তরফে পাশে আছি।”
সুখী বিবির দাবি, স্বামীর খোঁজ নেই। মারধরের জেরে ছোট সন্তানের মাথায় সেলাই পড়েছে। বর্তমানে ছোট সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষা করছেন পাশের গ্রামে। এখন পুলিশ-প্রশাসনের কাছে বিচার চাইছেন মহিলা।





