Bagtui Massacre: বাকি বাড়ির আগুন নেভালেও সোনা শেখের বাড়িই কেন এড়িয়ে গেল দমকল? প্রশ্ন সিবিআইয়ের
Rampurhat Murder: এই মুহুর্তে সব থেকে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে দমকলের ভূমিকাই। সিবিআই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, রাত্রি ১০.২২ নাগাদ এলাকায় পৌঁছায় দমকল। এরপর রাত ২টো নাগাদ তাঁরা বেরিয়ে যায়।
বগটুই: বগটুই গণহত্যায় প্রথম থেকেই গোয়েন্দাদের নজরে ছিল পুলিশের ভূমিকা। এবার দমকলের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠছে। সিবিআই তদন্তে কঠিন-কঠিন প্রশ্নের মুখে দমকল এবং পুলিশ। ঘটনার দিন রাত ১০.২২ নাগাদ গ্রামে পৌঁছায় দমকল। তারপর ঠিক কী কী হয়? কেন সময় মত গ্রামে পৌঁছেও আগুন নেভাতে পারল না তাঁরা। সোনা শেখের বাড়িতেই বা কেন গেল না তাঁরা? এই রকমই একাধিক প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, এই মুহুর্তে সব থেকে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে দমকলের ভূমিকাই। সিবিআই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, রাত্রি ১০.২২ নাগাদ এলাকায় পৌঁছায় দমকল। এরপর রাত ২টো নাগাদ তারা বেরিয়ে যায়। কিন্তু তখনও সোনা শেখের বাড়িতে দাউ-দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! যেখানে দমকলের কাজ আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসা। সেখানে আগুন জ্বলার পরও কেন তারা না নিভিয়ে বেরিয়ে এল! এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। আর এই সকল প্রশ্নের আসল কারণ এখনও সিবিআই গোয়েন্দাদের দমকল কর্মীরা দিতে পারেনি।
একই সঙ্গে সিবিআই জানতে পেরেছে, ওই দিন রাত্রিবেলা দমকল কর্মীরা আগুন লেগে যাওয়া প্রতিটি বাড়িতে খোঁজ নিয়েছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন কেউ ভিতরে আটকে রয়েছেন কি না। একমাত্র সোনা শেখের বাড়িতেই তাঁরা যাননি। ফলত এখানেও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য বগটুই কাণ্ডে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। ঘটনার দিন রাতে কেন পুলিশ সময়ে পৌঁছল না ঘটনাস্থলে, পরিস্থিতি বুঝে কেনই বা আগাম নিরাপত্তা দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে। আর এবার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠল সেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধেই। সামনেই ছিল প্রমাণ। অথচ ঘটনার পর তদন্ত শুরু করলেও সেই প্রমাণ দেখেনি পুলিশ। ঘটনার ১২ দিন পর সেই প্রমাণ জোগাড় করা কঠিন হয়েছে উঠেছে সিবিআই আধিকারিকদের পক্ষে। এসডিপিও-র বাংলোর উল্টোদিকেই রয়েছে একটি হার্ডওয়ারের দোকান, যেখানে লাগানো রয়েছে ১০ টি সিসিটিভি। কেন ওই সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করল না পুলিশ? প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই। আর এত দিন পর সেই প্রমাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। কারণ ওই সব ক্যামেরার ফুটেজ মুছে গিয়েছে।