Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথীর নাম শুনেই মুখ ফেরাল বেসরকারি হাসপাতাল, বিনা চিকিৎসায় ১৪ ঘণ্টা থেকে মৃত্যু রোগীর

Durgapur Patient Death: নির্মলবাবু পেশায় ব্যবসায়ী। দুর্গাপুরের আশীষ মার্কেটে একটি ঘড়ির দোকান রয়েছে তাঁর।

Swasthya Sathi: স্বাস্থ্যসাথীর নাম শুনেই মুখ ফেরাল বেসরকারি হাসপাতাল, বিনা চিকিৎসায় ১৪ ঘণ্টা থেকে মৃত্যু রোগীর
মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ পরিবারের (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 03, 2022 | 11:34 AM

দুর্গাপুর: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখে একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালের দরজা বন্ধ।প্রায় চোদ্দ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় থাকার পর মৃত্যু রোগীর। গোটা ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়াল দুর্গাপুরের জব্বর পল্লীতে। ‘রেফার রোগের’ জেরে ফের প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা। শনিবার দুপুরে বাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন এক ব্যক্তি। চিকিৎসার জন্য তাঁকে একের পর এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কেউ ভর্তি না নেওয়ায় শেষমেশ রবিবার সকাল আটটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।

মৃতের নাম নির্মল মণ্ডল (৬২)। পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকার কারণে বেড মেলেনি হাসপাতালের। ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পরই ক্ষেপে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন মৃতদেহ রাস্তায় রেখেই পথ অবরোধ শুরু করে। পরে পুলিশ এসে মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

জানা গিয়েছে, নির্মলবাবু পেশায় ব্যবসায়ী। দুর্গাপুরের আশীষ মার্কেটে একটি ঘড়ির দোকান রয়েছে তাঁর। শনিবার দুপুর বারোটা নাগাদ জব্বরপল্লীতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। এদিন দুপুরে দোকান বন্ধ করে যখন জব্বরপোল্লিতে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন ঠিক তখন একটি মোটর বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে নির্মলবাবুকে। সাইকেল থেকে ছিটকে গিয়ে পড়েন তিনি। এরপর দুর্গাপুর মহুকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যালে কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলেও মেলেনি চিকিৎসা। পরিকাঠামোর অভাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। পাঠানো হয় বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে আবার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখেই রোগীকে রেফার করে দেওয়া হয়। আবারও পরিবারের সদস্যরা গুরুতর জখম অবস্থায় ফের তাঁকে দুর্গাপুরে নিয়ে আসে। একের পর এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে যায়। কিন্তু শেষমেশ মর্মান্তিক পরিণতি হয় তাঁর।

অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথীর কথা শুনে একদিকে যেমন কোনও বেসরকারি হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি, অন্যদিকে পরিকাঠামোর অভাবে চিকিৎসা মেলেনি সরকারি হাসপাতালে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যায়ের টাকা কোথায় যায়? আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের গুরুত্বই বা কী?

দুর্গাপুর ফরিদপুর তৃণমূল ব্লক সভাপতি জানান, “যে হাসপাতাল এই কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই পরিবারকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন: Shantanu Thakur: মতুয়াদের উপর হামলা, সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শান্তনু ঠাকুর