Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bagtui Massacre: সেদিন সকালেও এক উঠোনে খেলেছে, রাতে বন্ধুদের ‘পুড়তে’ দেখেছে, তারপর থেকে অন্ধকার ঘরেই সেই ৫ শিশু

Bagtui Massacre: সাহে আলমের ঘরের পাঁচ বাচ্চা আজ কুঁকড়ে রয়েছে। শেষ সোমবার সকালে এই উঠোনেই যাদের সঙ্গে খেলেছিল, সেই আকাশ ও সূর্যকে আর দেখতে পাবে না তারা।

Bagtui Massacre: সেদিন সকালেও এক উঠোনে খেলেছে, রাতে বন্ধুদের 'পুড়তে' দেখেছে, তারপর থেকে অন্ধকার ঘরেই সেই ৫ শিশু
এই সেই বাড়ি (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2022 | 2:52 PM

বগটুই: শাহ আলম শেখ, বছর ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। সংসারের গার্হস্থ্য অনুশাসনে নুন আনতে পানতা ফুরোয়। অনেক কষ্টে মাথা গোঁজার একটা ঠাঁই তৈরি করেছিলেন। একটা পাকা বাড়ি। তাতে অবশ্য আবাস যোজনার টাকাও ছিল। বাড়ির সামনে কিছুটা জায়গা। সেই উঠোনেই কিছুদিন আগে ঘরের বাচ্চাগুলো খেলাধুলো করত। নিজের পাঁচ নাতি-নাতনি। আর উল্টো দিকের বাড়ির সেই দুটো বাচ্চা। উল্টো দিকের বাড়ি, যে বাড়ি আজ পুড়ে খাক। কেবল জুড়ে থাকা উঠোনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এক রাশ পুরনো স্মৃতি। বাচ্চাগুলো খেলত সকাল-সন্ধ্যে , হট্টগুলো করত, বকাও খেত আবার। কিন্তু আজকে কেবল নিঃস্ব বুকটার মতোই খা খা করছে উঠোনটাও।

সাহে আলমের ঘরের পাঁচ বাচ্চা আজ কুঁকড়ে রয়েছে। শেষ সোমবার সকালে এই উঠোনেই যাদের সঙ্গে খেলেছিল, সেই আকাশ ও সূর্যকে আর দেখতে পাবে না তারা। আদৌ কি তারা পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে? সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু এমনই পরিস্থিতি, ঝলসে যাওয়া দেহ দুটো পর্যন্তও উদ্ধার হয়নি তাদের। প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে তারা কোথায়? উত্তর খুঁজছেন গম্ভীর চেহারার ‘কাকুরা’। কিন্তু এ সব নিয়ে তারা ভাবিত নয়। বছর ছয়-সাতেকের বাচ্চাগুলো এত জটিলতা বোঝার কথাও নয়। তারা আঁকড়ে রয়েছে কেবল পুরনো স্মৃতি আঁকড়েই। আর কি ফিরে পাবে বন্ধুদের? বন্ধুদের বাড়িটা পুড়েছে, বন্ধুদের খোঁজ নেই। কোথায় তারা? ভয়ে সে প্রশ্নও করতে পারছে না তারা।

শাহ আলম

বাড়িটা ধূলিসাৎ, উঠোনটা রয়েছে গিয়েছে। পোড়া গন্ধ বাতাসে। আর উঠোনে তাজা ফেলে আসা স্মৃতি। বাচ্চাগুলো সোমবার সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকেছিল, তারপর থেকে আর উঠোনের দিকে পা মাড়ায়নি তারা। অন্ধকার ঘরেই কাটছে দিন। বাচ্চা কেন, সাহে আলম নিজেই থাকতে পারছেন না বাড়িতে। কষ্ট, আতঙ্ক বুকে চাপ তৈরি করছে। সাহে আলম নিজেই বলছেন, “আত্মীয়রা ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছে। কোথায় যাই বলুন তো? বগটুই শুনলেই তো আমাদেরই ক্রিমিন্যাল ভাবছে লোক। ভেবেছিলাম গরু, ছাগল-বাড়ি বেঁচে চলে যাব… খরিদ্দার পাচ্ছি কই!কেউ খোঁজ নিচ্ছে না, বাড়িও বিক্রি করতে পারবো না। বিক্রি হলে চলে যাবো। এখানে থাকতে পারছি না দাদা। কষ্ট হচ্ছে খুব!”


বাচ্চাগুলো অবশ্য এসব ভাবতেও পারছে না… বন্ধ ঘরের জানলা দিয়ে তাকিয়ে রয়েছে আর হয়তো ভাবছে…’বন্ধু চল, রোদ্দুরে…’

আরও পড়ুন: ‘তবে কি সর্বাধিনায়িকার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র করছেন তৃণমূলের লোক?’ উত্তাল বিধানসভা

 

আরও পড়ুন: ‘বড় নেতা, বেশি বোঝেন’, অনুব্রত-র নাম শুনে কি চটে গেলেন কুণাল?