Bagtui Massacre: মমতা দিলেও হাতে পাননি চেক, বগটুই কাণ্ডে মৃত বৌদির ক্ষতিপূরণ নিয়ে ক্ষোভ কাজলের

Birbhum: নানুরের বাসিন্দা সাজিদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী মিলি খাতুন। ২১ মার্চ যেদিন ঘটনাটি ঘটে ওই অভিশপ্ত রাতে প্রাণ যায় সস্ত্রিক সাজিদুরের।

Bagtui Massacre: মমতা দিলেও হাতে পাননি চেক, বগটুই কাণ্ডে মৃত বৌদির ক্ষতিপূরণ নিয়ে ক্ষোভ কাজলের
সাজিদুরের পরিবার (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2022 | 7:32 PM

বগটুই: বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে একটা গোটা মাস। ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে গিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে। সেখান থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সাহায্য ও চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু আদৌ কি সেই ক্ষতিপূরণ জুটেছে সকলের ভাগ্যে?

নানুরের বাসিন্দা সাজিদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী মিলি খাতুন। ২১ মার্চ যেদিন ঘটনাটি ঘটে, ওই অভিশপ্ত রাতে প্রাণ যায় সস্ত্রিক সাজিদুরের। অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও সাজিদুরের পরিবারের হাতে এখনও আসেনি ক্ষতিপূরণ। জোটেনি চাকরির নিয়োগপত্রও। তাঁদের সন্দেহ সেই টাকা ভোগ করছেন অন্য কেউ।সোমবার বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে আসেন সাজিদুরের পরিবারের সদস্যরা। জেলাশাসকের কাছে বিষয়টি নিয়ে নালিশ করেন তাঁরা। পাশাপাশি লিখিত আকারেও সমস্ত বিষয়টি জানান তাঁরা।

এই বিষয়ে সাজিদুরের ভাই কাজল মোল্লা বলেন, “বগটুইকাণ্ডে আমার ভাই বউদি দু’জনকেই হারিয়েছি। দিদির দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা সাজিদুরের চেক বা  চাকরি দুটোই পেয়েছি। কিন্তু আমার বউদির লিলি খাতুনের মৃত্যুর পর টাকা বা চাকরি কিছুই পাইনি। এবং আমরা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছি যে এই চেক বা চাকরি কে নিল? দিদির দেওয়া দান কে ভোগ করল? গোটা বিষয়টি জানার জন্য আমরা আজ এখানে এসেছি।”

প্রসঙ্গত, বগটুইয়ের হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে গিয়ে পরিবারগুলির জন্য আর্থিক সাহায্য ও চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। বলেছিলেন, মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যে বাড়িগুলি পুড়ে গিয়েছে, সেগুলি আবার তৈরি করার জন্য ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে, যদি প্রয়োজন পড়ে, তাহলে ২ লাখ পর্যন্ত দেওয়া হবে। এছাড়াও যাঁদের দেহ আগুনে ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে, তাঁদের ১ লাখ টাকা করে এবং যে শিশুরা জখম হয়েছে, তাদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এছাড়া চাকরির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারপিছু একজন করে চাকরি দেওয়া হবে। নিজের মুখ্যমন্ত্রী কোটা থেকে ১০ জনকে চাকরি দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে মাসে ১০ হাজার টাকার বেতনে কাজ দেওয়া হবে। এক বছর পর তা স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরও সেই ক্ষতিপূরণ না মেলায় স্বাভাবিকভাবে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন: BJP MP Arjun Singh: ‘মুখ্যমন্ত্রী ডাকলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করব’, হঠাৎ বোলবদল অর্জুনের