
বীরভূম: কলকাতায় এসেছিলেন। ২০ তারিখই গিয়েছিলেন একুশের সভামঞ্চে। কিন্তু, মূল মঞ্চে যাওয়ার পথেই আটকে দেয় পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে চলে যান। তারপর একুশের সভামঞ্চে আর তাঁকে দেখা যায়নি। কলকাতায় এ নিয়ে চাপানউতোর যখন তীব্র হচ্ছে তখন চাপানউতোর বীরভূমের রাজনৈতিক আঙিনাতেও। উঠে আসছে নানা মুনির নানা মত।
তীব্র খোঁচা দিয়ছেন বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। বলছেন, “দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূলের অভ্যন্তরে অনুব্রতকে সাইডলাইনে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমরা মনে করি তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক দল নয়, এটা একটা কোম্পানি। এখন হয়তো অনুব্রতর থেকে ভাল কাউকে পেয়ে গিয়েছে। এদের পদ হল কলকাতার বাসে লেডিস সিটে বসানো। বাসে যেমন লেডিস সিটে বসলে কোনও মহিলা এলে উঠে যেতে হয়, এখানেও তেমন মোটা টাকা কেউ পাঠালে সেই অনুব্রতর জায়গায় বসবে।”
এদিকে এদিন আবারই ফেসবুকে বেশ কিছু ছবি পোস্ট করে চাপানউতোর আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন কেষ্ট। ক্যাপশনে লিখলেন, ২১শে মানেই অঙ্গীকার, ভাষা, পথচলা—নব প্রজন্মের দিশা। আর নিচে পোস্ট করা ছবিগুলির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাদ্যায়ের ছবি ৭টি, আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সংখ্যা ৯টি। তা নিয়েও তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। এ নিয়েও খোঁচা দিয়ে সিপিআইএমের বীরভূম জেলার সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলছেন, “ব্যাকফুটে যাচ্ছে বলেই এসব করছে।”