Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

গায়ে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে বিজেপির ‘করোনা ভাইরাসদের’ যোগদান ঘাসফুলে

বৃহস্পতিবার, ওই দুই বুথের মোট ১৫০ জন কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সদ্য যোগদানকারীদের গায়ে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে দলীয় পতাকা হাতে তুলে দেন।

গায়ে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে বিজেপির 'করোনা ভাইরাসদের' যোগদান ঘাসফুলে
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 24, 2021 | 2:50 PM

বীরভূম: বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বেড়েছে দলবদলের হিড়িক। যোগদান পর্বে ক্রমেই পাল্লা ভারী হচ্ছে তৃণমূলের। যোগদান পর্বে মাঝেমধ্য়েই নজরে এসেছে অভিনবত্ব। কোথাও কান ধরে ওঠবোস, কোথাও বা মাথা কামিয়ে ন্যাড়া হয়ে বিরোধী শিবির থেকে শাসক শিবিরে যোগ কোথাও বা পোস্টার দিয়ে ঘরওয়াপসি। এ বার, নানুরের ইলামবাজারে গায়ে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে বিজেপি থেকে তৃণমূলে এলেন প্রায় ১৫০ জন কর্মী।

বোলপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ইলামবাজার ব্লকের দেবীপুর গ্রামের ১২০ ও ১১৬ নম্বর বুথে বিজেপি জয়লাভ করেছে।বৃহস্পতিবার, ওই দুই বুথের মোট ১৫০ জন কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সদ্য যোগদানকারীদের গায়ে স্যানিটাইজার ছিটিয়ে দলীয় পতাকা হাতে তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি দুলাল রায় ও অন্যান্য নেতৃত্ব।

এদিন, তৃণমূল নেতা দুলাল রায় বলেন, “আমাদের দলে যোগ দেওয়ার জন্য অনেকে বসে থাকত। এর আগে পোস্টার নিয়ে বসে থাকতে দেখেছি। তাই আমরা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে ওই ১৫০ জন বিজেপি কর্মীকে দলে নিয়েছি। ওরা সব বিজেপির করোনাভাইরাস ছিল। তাই করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করতে ওদের স্য়ানিটাইজ করে দলে নেওয়া হয়েছে। আশা করি এ বার থেকে তৃণমূলের প্রতি ওরা দায়বদ্ধ থাকবে।”

পাল্টা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের দাবি, বাংলায় সন্ত্রাসের রাজনীতি চলছে। সন্ত্রাসের জন্য শাসক শিবির অত্যাচার চালাচ্ছে। ভয় দেখিয়ে যোগদান করানো হচ্ছে। যারা তৃণমূলে গিয়েছে তাদের জন্য দলের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই দাবি বিজেপি নেতার। উল্লেখ্য, এর আগে নানুরেই বাজার এলাকায় প্রায় ২৫০ জন বিজেপি কর্মী মাইকিং করে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রচার করে জানিয়েছিল তারা তৃণমূলে যোগ দিতে চায়। শুধু তাই নয়, সেই প্রচারে ওই কর্মীদের বার্তা ছিল, “আমরা বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে বিজেপি করেছি। শাসক শিবিরের নামে ভ্রান্তি ছড়িয়েছি। আমরা ক্ষমা চাইছি। আমরা তৃণমূলে ফিরতে চাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে চাই।” যদিও, সেই ঘটনার পরেও তৃণমূলের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি। নীরব ছিল পদ্ম শিবিরও।

আরও পড়ুন: ‘ঘুষখোর!’ বিজেপিতে যোগ দিতেই ‘পোস্টার বিতর্কে’ তৃণমূলের কাউন্সিলর