রামপুরহাট : বগটুই হত্যাকান্ডে (Bagtui Massacre) এবার চাঞ্চল্যকর মোড়। সোনা শেখের বাড়িতে পোড়ানোর আগে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়েছিল। কুপিয়ে খুনের পর দেহে আগুন লাগানো হয়েছিল। সিটের (SIT) তদন্তকারী দলকে মৌখিকভাবে জানাল ফরেনসিক (Forensic)। সূত্রের খবর, ফরেনসিক রিপোর্টে উঠে এসেছে, ঘর রক্তে ভেসে গিয়েছিল। বিভিন্ন ঘরে মিলেছে পোড়া রক্তের নমুনা। একটি লোহার রড থেকে আঙুলের ছাপও নেওয়া হয়েছে বলে খবর। একটি প্লাস্টিকের জার মিলেছে অকুস্থল থেকে। ঘরের দক্ষিণ পূর্ব কোণে প্রথম আগুন লেগেছিল বলেও উঠে এসেছে ফরেন্সিক রিপোর্ট। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।
TV9 বাংলা আগেই সূত্র মারফত প্রকাশ করেছিল, সোনা শেখকে শুধুমাত্র আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়নি। তার আগে গ্রিল ভেঙে তাঁকে কোপানো হয়েছিল। তারপর তাঁর দেহে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার সিটকে মৌখিকভাবে জানানো তথ্যেও সেই একই কথা বলছে ফরেনসিক। বুধবার দুপুরেই স্টেট ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবের বিশেষজ্ঞরা মৌখিকভাবে সিটের তদন্তকারী অফিসারদের জানিয়েছেন, যে ঘরে দেহ পাওয়া গিয়েছিল, তার দক্ষিণ পূর্ব কোণে প্রথম আগুন লেগেছিল। দেহের মাথায় ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। ঘরের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় পোড়া রক্তের দাগ পেয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। ফরেনসিকের বায়োলজিক্যাল এক্সপার্ট যিনি এসেছিলেন, তিনি ইতিমধ্য়েই সেই নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
এর পাশাপাশি একটি লোহার রড থেকেও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা আঙুলের ছাপ নিয়েছেন। সেই রডটি কি মারধরের সময়ে ব্যবহার করা হয়েছিল ? সেই সব দিক খতিয়ে দেখবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি একটি প্লাস্টিকে জার, যেটির মধ্যে সম্ভবত কোনও দাহ্য বস্তু ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে, সেটির থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা।
এর মধ্য়ে সবথেকে বড় যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা হল সরাসরি আগুন দেওয়া হয়নি মৃতদের গায়ে। যেভাবে একটি জায়গাতেই সব দেহগুলি পাওয়া গিয়েছিল, তা থেকে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি গায়ে সরাসরি আগুন দিয়ে দেওয়া হত, তাহলে তাঁরা ছটফট করতেন এবং দেহের অংশ বিশেষ ঘরের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যেত। পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা বা ছটফট করার চেষ্টার চিহ্ন দেখা যেত। কিন্তু এক্ষেত্রে ঘরের একটি নির্দিষ্ট জায়গাতেই দেহের বিভিন্ন অংশ পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন : HC On Bagtui Massacre: বগটুই কান্ডে তদন্তভার নিতে প্রস্তুত সিবিআই, জানাল কেন্দ্র, সিটের রিপোর্ট তলব আদালতের