Hooghly: ৮ লক্ষ মুক্তিপণ চেয়ে ফোন! ৮ ঘণ্টার মধ্যেই পর্দাফাঁস
Hooghly: সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডের হোসেনপুরের বাসিন্দা সাহেনারা বেগম বৃহস্পতিবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, তাঁর ছেলে শেখ মাফুজকে অপহরণ করা হয়েছে এবং একটি ফোন থেকে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছে।

হুগলি: আট লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে যুবককে অপহরণের অভিযোগ। আট ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার চার। সোনার কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবককে অপহরণ করে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে চার অভিযুক্তকে গ্ৰেফতার করল সিঙ্গুর থানা পুলিশ। এই ঘটনায় আরও দুজন জড়িত রয়েছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতরা হলেন, শেখ শরিফ, শেখ নইম,শেখ জাহাঙ্গির, শেখ হালিম। প্রত্যেকের বাড়ি হরিপাল থানা এলাকায়। অভিযুক্তদের পুরনো কোনও ক্রাইম রেকর্ড আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সিঙ্গুরের কামারকুণ্ডের হোসেনপুরের বাসিন্দা সাহেনারা বেগম বৃহস্পতিবার রাতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, তাঁর ছেলে শেখ মাফুজকে অপহরণ করা হয়েছে এবং একটি ফোন থেকে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন এসেছে। অভিযোগ পেয়ে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ। এবং যে মোবাইল থেকে ফোন এসেছিল সেটি ট্যাক করা শুরু করা হয়। হরিপাল থানায় মোবাইলের লোকেশন পাওয়া যায়।
সিঙ্গুর থানা হরিপাল থানার যৌথভাবে হরিপালের কামরাজপুর এলাকায় পৌঁছয়। এবং একটি মাঠের ধার থেকে অপহৃত শেখ মাফুজকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি অপহরণকান্ডে জড়িত ৪ জনকে সেখান থেকে গ্ৰেফতার করে। সেখান থেকে একটি মোটর বাইক ও উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের শুক্রবার চন্দন নগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ আধিকারিকরা আরো জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা অপহৃত শেখ মাফুজের পূর্ব পরিচিত। সোনার কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে হরিপালের গজারমোর এলাকায় ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে তাঁকে অপহরন করে হরিপালের কামরাজপুর এলাকায় একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে রেখে অভিযুক্তরা । সেখানে থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

