তরকারি রেঁধে, চা খেয়ে ৫০০ টাকা দিলেন মমতা

নিবিড় সংযোগে আদিবাসী গ্রামে ঢুকে পড়লেন ‘দিদিমণি’।

তরকারি রেঁধে, চা খেয়ে ৫০০ টাকা দিলেন মমতা
Follow Us:
| Updated on: Dec 30, 2020 | 3:11 PM

বল্লভপুর ডাঙা: বীরভূম জেলার প্রশাসনিক বৈঠক সেরে বুধবার কলকাতায় ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তার আগে একবারে নিবিড় জনসংযোগের উদ্দেশ্যে আদিবাসী গ্রামে ঢুকে পড়লেন ‘দিদিমণি’। শুনলেন গ্রাম বাংলার মানুষের দুঃখ, কষ্টের কথা। ফেরার পথে অল্প কিছুক্ষণের জন্য সারলেন ‘চা চক্র’-ও।

এদিন ডুমুরজলায় আসার পথে অস্থায়ী হ্যালিপেডে যাওয়ার আগে বীরভূমের বল্লভপুর ডাঙা গ্রামে ঢুকে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কথা বলেন গ্রামের আদিবাসীদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে গ্রামের সমস্যার ফিরিস্তি তুলে ধরেন গ্রামবাসীদের অনেকেই। তাঁদের মধ্যে একজন সোনামণি সোরেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গ্রামে শৌচাগার না থাকার অভিযোগ জানান তিনি। সোনামনির কথা শুনেই সবার সামনেই জেলা প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিএমকে ডেকে বকাবকি তো করেনই সঙ্গে নির্দেশ দেন, ১২৫ ঘর গ্রামবাসীর জন্য যেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শৌচাগার বানিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: অমিতের ‘অন্নদাতা’ গাইলেন, ‘সোনার দিদিকে ছেড়ে দেব না’, খুশি হয়ে উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন মমতা

এরপর সেখান থেকে তিনি হেঁটে মমতা আসেন সরকার ডাঙা পর্যন্ত। মাঝখানে একটি চায়ের দোকানেও বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময় চা বিক্রেতা রান্না করছিলেন দেখে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং তরকারি রান্নায় হাত লাগান। বলে দেন, পাঁচফোড়ন সহ কী কী ব্যবহার করলে খাবারের স্বাদ বাড়বে। এরপর সেখানে দাঁড়িয়েই চায়ে চুমুক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, জেলার দলীয় সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে চা দোকানিকে দিয়ে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থেকে ৫০০ টাকা পেয়ে তো রীতিমতো হতচকিত চা বিক্রেতা। চোখে মুখে বিষ্ময় নিয়েই বলেন, ‘আপনি এসেছেন, এটাই যথেষ্ট, টাকা লাগবে না দিদি’। এরপরই দোকানির প্রত্যুত্তরে হেসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রেখে দাও, মিষ্টি খাবে।”

আরও পড়ুন: শিল্পের জন্য কোনওদিন পিছিয়ে যেতে দেখেছেন মমতাকে: সুব্রত

আমলাদের নিয়ে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন ‘মা-মাটি-মানুষ’-এর সঙ্গে নিবিড়ে বাহুডোরে চলে যাওয়া নতুন নয়। অতীতেও বহুবার এই ঘটনা ঘটেছে, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে চা বানিয়ে তাঁর অফিসারদের খাইয়েছেন। গত বছর দিঘায় প্রশাসনিক বৈঠকের পর চায়ের দোকানে ঢুকে চা বানিয়ে সকলকে খাইয়েছিলেন তিনি। সেই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছিল।