বীরভূম: যে কোনও ভোটের শেষেই নিয়ম করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অনুব্রত মণ্ডল। রবিবারও পুরভোটের শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। একেবারে ফুরফুরে মেজাজে এদিন দেখা গিয়েছে তাঁকে। ১০৮টি পুরসভাতেই তাঁর দল জিতবে বলে প্রত্যয়ী বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের কথায়, এমন সুষ্ঠু ভোট তিনি কোনওদিনও দেখেননি। অনুব্রত বলেন, “আমার জীবনে এরকম কোনওদিন দেখিনি। ৩৪ বছরে যখন ভোট হত, প্রকাশ্যে বোমা-বন্দুক চলত। অথচ আজ ভোট হল কোথাও মারামারি নেই, ঝামেলা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে এটাই গর্ব।” বীরভূমের ‘কেষ্ট’র ভবিষ্যৎবাণী ১০৮-এর ১০৮টিতেই জয় পাবে তৃণমূল। কারণ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন। ওনাকে আগামী ২০ বছর মানুষ ভুলবে না। তাঁকে দেখেই মানুষ ভোট দেবে।”
এদিন সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিরোধীদেরও এক হাত নেন অনুব্রত। বলেন, “ওদের লোকজন নেই, সংগঠন নেই, লজ্জাও নেই। বিবেকে লাগে না। তাই এত মিথ্যা কথা বলে। এতগুলো পুরসভার মধ্যে দু’ একটা ওয়ার্ডে কী ঝামেলা হল তা নিয়ে প্রচারে থাকতে চাইছে।”
এ কথার রেশ ধরেই তিনি তুলে ধরেন কামারহাটি, ভাটপাড়ার প্রসঙ্গ। এদিন দিনভর এই দুই পুর এলাকায় বেদম সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ভাটপাড়া পুরসভা দখলে নিতে মরিয়া ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ভাটপাড়ায় জিততে না পারলে অর্জুনের ব্যক্তিগত ক্যারিশমা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। কারণ ব্যারাকপুরের সাংসদ হলেও অর্জুন সিংয়ের ‘গড়’ কিন্তু ভাটপাড়াই।
এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “কামারহাটিতে যা হয়েছে তা কয়েকজন দুষ্টু লোকজন করেছে। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আর ভাটপাড়ায় অর্জুন টিভিতে মুখ দেখানোর জন্য করেছে। ১০৮টার ভিতরে ওটা একটা ওয়ার্ড। কামারহাটিতে যেটা বলছে, সেটাও একটা ওয়ার্ড। ১০৮টা পুরসভায় ভোট। একটা ওয়ার্ডে কী হল তা ব্যক্তিগত ঝামেলা ছাড়া আর কিছুই না।” বিরোধীদের পায়ের নীচে মাটি নেই বলেই এসব করছে বলে দাবি করেন অনুব্রত।
একেবারে উৎসবের মেজাজে ভোট হয়েছে, দাবি করে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বিরোধীদের সুন্দরভাবে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিৎ। চানটান করে, ফ্যান চালিয়ে ঢাকা দিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া উচিৎ। বাড়িতে লোকজন থাকলে মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিক।”
আরও পড়ুন: Municipal Elections 2022: জোর করে বনধ করলে রেয়াত নয়, সাংবাদিক সম্মেলনেই সুর চড়া ডিজির
আরও পড়ুন: Municipality Elections 2022: ‘গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে’, নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের