নানুর: নানুরে জমি দখলের অভিযোগ উঠল অনুব্রত ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তাঁদের জমি জোর করে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান নানুরের বাসপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। অভিযোগের তির বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা আব্দুল করিম খানের বিরুদ্ধে। জমি হারা মহিলাদের অভিযোগ, মিলন মেলার জন্য যে মাঠ হয়েছে, সেখানকার ৪৫ বিঘা জমি হাতিয়ে নিয়েছেন আব্দুল করিম খান। জমি হাতানোর পিছনে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলেরও মদত রয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও করিম খানের দাবি, কোনও অবৈধ কাজ হয়নি। মেলার মাঠের এই জমি এলাকার মানুষ স্বেচ্ছায় দিয়েছেন। ট্রাস্টের নামে এই জমি দান করা হয়েছে। অভিযোগকারী এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, “মেলার জন্য জমি নিয়ে নিয়েছে। ২১ কাঠা জমি নিয়েছে।” আরেক মহিলার বক্তব্য, “কয়েকজন ছেলে এসে বলছেন, ডাকছেন কেরিম খান, যেতে হবে। জোর করে ৫০ বিঘা বাউন্ডারি একেবারে দখল করে নিয়েছে। জমি এক সপ্তাহের মধ্যে ফেরত চাই। তা না হলে সমস্ত গ্রামবাসী অনশন বিক্ষোভে বসবেন।”
যদিও কেরিম খানের বক্তব্য, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। স্বেচ্ছায় বাড়ি সকলে রেজিস্ট্রি করেছে। তার দলিল আমাদের কাছে আছে। অবাস্তব কথা বললে হবে না। তাও আমরা সুযোগ দিয়েছে। ঘর তোমাদের থাকবে, ডেকরেশনের ব্যবসা কর।”
জমি দখলের অভিযোগ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক চাপান-উতোর তৈরি হয়েছে। জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “এটা এখনও আমাদের দলীয় তদন্তের মধ্যে আসেনি। আমার কাছে যতটা খবর রয়েছে, বহু মানুষের উপকারের জন্য এটা করা হয়েছে। বড় কিছু করতে গেলে কিছু মানুষের ক্ষুদ্রতর স্বার্থ বিসর্জন দিতেই হবে। খোঁজ নিয়ে দেখছি, সেরকম কারোর আপত্তি থাকলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিজেপি নেতার বক্তব্য, “সারা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের কাজই হচ্ছে জমি দখল, মানুষের সম্পত্তি দখল। এটা করার সিন্ডিকেটের নাম তৃণমূল কংগ্রেস।এখানে দু-তিন জন মিলে সিন্ডিকেট চালাচ্ছে।”