Nanur Crime: ফাঁকা ঘরে গোঙানির শব্দ শোনা যাচ্ছিল, শাশুড়ির যা অবস্থা করলেন জামাই, ছিঃ ছিঃ করছেন পড়শিরা
Nanur Crime: স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েকমাস আগেই মফিজা বিবির মেয়ের সঙ্গে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের কাসেম শেখের বিবাহ হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না।
বীরভূম: নিত্য ঝামেলা লেগেই থাকত। মঙ্গলবার রাতেও তাই ওই বাড়ি থেকে যখন চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন, রোজকার ঘটনা ভেবে তাতে বিশেষ আমল দেননি প্রতিবেশীরা। কিন্তু বাড়ির ভিতর থেকে অদ্ভুত একটা গোঙানির শব্দ কানে এসেছিল তাঁদের। ঘরে গিয়ে দেখেন দরজার সামনেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। কাতরাচ্ছেন তিনি। নির্বাক দৃষ্টিতে বসে রয়েছেন ওই বৃদ্ধার মেয়ে। চেপে ধরতেই হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠেন তিনি। যা বললেন, তা শুনে হাড় হিম অবস্থা প্রতিবেশীদের। মহিলার দাবি, তাঁকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁর স্বামী। বাঁচাতে এসেছিলেন তাঁর মা। শাশুড়িকে সামনে পেয়ে ধারাল ছুরি দিয়ে তাঁরই গলার নলি কেটে দেন জামাই। চাঞ্চল্যকর ঘটনা বীরভূমের মাড্ডা গ্রামে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে মফিজা বিবির।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েকমাস আগেই মফিজা বিবির মেয়ের সঙ্গে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের কাসেম শেখের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। তাঁরা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। মঙ্গলবার রাতে জামাই কাসেম শেখ আবার ঝগড়া শুরু করেন বলে অভিযোগ। ঝগড়ার মাঝেই স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা করেন। মেয়ের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন মফিজা বিবি। মেয়েকে আগলে দাঁড়ান তিনি। অভিযোগ তখনই হাতে থাকা ছুরি দিয়ে শাশুড়ির গলার নলি ফুঁড়ে দেন কাসেম।
অভিযোগ, কাসেম শেখ শাশুড়িকে লক্ষ্য করেই ছুরি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কোপাতে শুরু করেন। শেষে গলার নলিতে ছুরি চালান বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁর মেয়েও। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নানুর থানার পুলিশ।
মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত জামাই পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় স্তম্ভিত প্রতিবেশীরা।