বীরভূম: আগের দিন রাতে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধানের। এরপরই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দমকল উদ্ধারকার্যে নেমে মঙ্গলবার সকালে গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ১০টি দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে বলে অভিযোগ। যদিও বীরভূমের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জোরাল হয়েছে অগ্নিসংযোগের অভিযোগই। যদিও এ তত্ত্ব মানতে নারাজ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ব্যাখ্যা, শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সোমবার তিন চারটে বাড়িতে আগুন লেগেছিল। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। সাতজন মারা গিয়েছেন। এর জন্য পুলিশ আছে, তদন্ত করছে। দমকল গিয়ে আগুন নিভিয়েছে। রাতভর বোমাবাজিও হয়নি, কিছুই হয়নি।” কিন্তু কিছুই যদি না হয়ে থাকে তা হলে কেন রামপুরহাটের এসডিপিও, আইসিকে ক্লোজ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। মুখ্যমন্ত্রী সিট গঠন করেছেন। পুরোটাই দেখে নিয়ে যত বড়ই লোক হোক না কেন দোষী যে হবে তার শাস্তি হবেই। যদি এটা অন্য কিছু হয় সেটাও তদন্তে বেরিয়ে আসবে। কী ঘটেছে না ঘটেছে কেউ জানে না। একটা উপপ্রধান খুন হয়েছে কালকে ঠিকই। এটার সঙ্গে তার কোনও যোগ আছে নাকি অন্য কিছু সেটা তো তদন্ত ছাড়া কোনওভাবেই বলা সম্ভব নয়।”
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রামপুরহাটে খুন, সিউড়িতে ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে বোমাবাজি, মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ গোষ্ঠীকোন্দল, আসলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের। শেষের শুরু। বিরোধী শূন্য করে দেওয়ার যে রাজনীতি, মানুষকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দিয়ে দখলদারির রাজনীতির কী পরিণতি হয় সেটা দেশের মানুষও দেখছেন। তৃণমূলও বুঝতে পারছে।” সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “এই ঘটনা গণহত্যা। একেবারেই দলবাজি। ১০ জন গেল, তার দায় কে নেবে। ধামা চাপা দেবে?”
আরও পড়ুন: Rampurhat Crime: তৃণমূলের উপপ্রধান ‘খুন’, বগটুই গ্রাম থেকে উদ্ধার ১০ অগ্নিদগ্ধ দেহ
আরও পড়ুন: Rampurhat Case: ‘এখনও অবধি সাতজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে’, জানালেন বীরভূমের পুলিশসুপার
বীরভূম: আগের দিন রাতে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধানের। এরপরই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। দমকল উদ্ধারকার্যে নেমে মঙ্গলবার সকালে গ্রামের একটি বাড়ি থেকে ১০টি দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে বলে অভিযোগ। যদিও বীরভূমের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সাতজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জোরাল হয়েছে অগ্নিসংযোগের অভিযোগই। যদিও এ তত্ত্ব মানতে নারাজ বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ব্যাখ্যা, শর্ট সার্কিট থেকে এই ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সোমবার তিন চারটে বাড়িতে আগুন লেগেছিল। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছিল। সাতজন মারা গিয়েছেন। এর জন্য পুলিশ আছে, তদন্ত করছে। দমকল গিয়ে আগুন নিভিয়েছে। রাতভর বোমাবাজিও হয়নি, কিছুই হয়নি।” কিন্তু কিছুই যদি না হয়ে থাকে তা হলে কেন রামপুরহাটের এসডিপিও, আইসিকে ক্লোজ করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। মুখ্যমন্ত্রী সিট গঠন করেছেন। পুরোটাই দেখে নিয়ে যত বড়ই লোক হোক না কেন দোষী যে হবে তার শাস্তি হবেই। যদি এটা অন্য কিছু হয় সেটাও তদন্তে বেরিয়ে আসবে। কী ঘটেছে না ঘটেছে কেউ জানে না। একটা উপপ্রধান খুন হয়েছে কালকে ঠিকই। এটার সঙ্গে তার কোনও যোগ আছে নাকি অন্য কিছু সেটা তো তদন্ত ছাড়া কোনওভাবেই বলা সম্ভব নয়।”
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রামপুরহাটে খুন, সিউড়িতে ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে বোমাবাজি, মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ গোষ্ঠীকোন্দল, আসলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের। শেষের শুরু। বিরোধী শূন্য করে দেওয়ার যে রাজনীতি, মানুষকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দিয়ে দখলদারির রাজনীতির কী পরিণতি হয় সেটা দেশের মানুষও দেখছেন। তৃণমূলও বুঝতে পারছে।” সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “এই ঘটনা গণহত্যা। একেবারেই দলবাজি। ১০ জন গেল, তার দায় কে নেবে। ধামা চাপা দেবে?”
আরও পড়ুন: Rampurhat Crime: তৃণমূলের উপপ্রধান ‘খুন’, বগটুই গ্রাম থেকে উদ্ধার ১০ অগ্নিদগ্ধ দেহ
আরও পড়ুন: Rampurhat Case: ‘এখনও অবধি সাতজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে’, জানালেন বীরভূমের পুলিশসুপার