Birbhum: ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মহিলাকে ধর্ষণ, দেখে ফেলায় মেয়েকেও খুন, ৩ বছর পর দোষী সাব্যস্তর ফাঁসির সাজা
Birbhum: ঘটনায় মৃত মহিলার বোন হরিচরণের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তারপর থেকে চলছিল মামলা।
রামপুরহাট: ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল মাকে। খুন করা হয়েছিল মেয়েকেও। এ ঘটনাতেই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত ২০২০ সালের ১৭ মে। ওইদিন বীরভূমের মল্লারপুর এলাকায় নিজের বাড়িতে খুন হন এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে। অভিযোগ, মহিলাকে কাজু বাদামের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয়। তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন (Murder) করা হয়। এদিকে গোটা ঘটনা দেখে ফেলেন মহিলার মেয়ে। তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করে অভিযুক্ত হরিচরণ দাস। এখানেই থেমে থাকেনি সে। তারপর তাঁকে কোপানো হয় বলে অভিযোগ।
নৃশংস এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের খবর শোরগোল ফেলে দিয়েছিল গোটা এলাকায়। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় মৃত মহিলার বোন হরিচরণের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। তারপর থেকে চলছিল মামলা।
সূত্ররে খবর, তদন্তে নেমে তারাপীঠ মহা শ্মশান থেকে ২০২০ সালে ১৯ জুলাই মল্লারপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে হরিচরণকে। বহু লোকের সাক্ষ্য-প্রমাণও নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত সোমবার অভিযুক্তকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দোষীর ফাঁসির সাজা শোনান বীরভূমের রামপুরহাট মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস।