Panchayat Election 2023: ভোটের মুখে কেষ্ট-ভূমে উদ্ধার প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ! বড় সাফল্য স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের
Fire arms Recovery: শুক্রবার এক বিশেষ অভিযানে বীরভূমের সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড চত্বর থেকে এই বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও পিস্তলের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। আব্দুল রহিম শেখ ওরফে মেহরুল শেখ নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকেও হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে।
সিউড়ি: বড় সাফল্য রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের (Bengal STF)। বীরভূমের সিউড়ি থেকে উদ্ধার হল প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও পিস্তলের সরঞ্জাম (Firearms Recovered)। পাকড়াও করা হয়েছে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকেও। সব মিলিয়ে তিনটি সেমি অটোমেটিক পিস্তল, একটি অত্যাধুনিক পাইপগান, পাঁচটি ম্যাগাজিন এবং ৭১ রাউন্ড কার্তুজ (৬১ রাউন্ড ৭.৬৫ এমএম ক্যাটেগরির কার্তুজ ও ৯টি ৮ এমএম ক্যাটেগরির কার্তুজ) পাওয়া গিয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) এক বিশেষ অভিযানে বীরভূমের সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড চত্বর থেকে এই বিপুল পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র ও পিস্তলের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। আব্দুল রহিম শেখ ওরফে মেহরুল শেখ নামে এক অস্ত্র ব্যবসায়ীকেও হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে।
সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের কাছে গোপন সূত্র মারফত আগে থেকেই খবর ছিল এই বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়ে। সেই মতো সিউড়ি থানা এলাকায় প্রস্তুত ছিলেন এসটিএফ-এর অফিসাররা। গতকাল সন্ধেয় সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড চত্বরে অতর্কিতে হানা দেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসাররা। ওই অভিযান চলাকালীন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় আব্দুল রহিম শেখের চালচলন দেখে সন্দেহ হয় অফিসারদের মনে। তাকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি শুরু করা হয়। আর সেই সময়েই ওই ব্যক্তির থেকে পাওয়া যায় তিনটি সেমি অটোমেটিক পিস্তল, একটি অত্যাধুনিক পাইপগান এবং প্রচুর পরিমাণে তাজা কার্তুজ। সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করে নেয় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ধৃত ওই ব্যক্তি বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানা এলাকায়। সিউড়ি থানায় আব্দুল রহিম শেখ নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। কী কারণে পূর্ব বর্ধমানের ওই ব্যক্তি বীরভূমের সিউড়িতে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসম্ভার নিয়ে ঘোরাফেরা করছিল, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি কোথায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল সেটিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসারদের সন্দেহ, এর পিছনে বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার একটি বড় চক্র জড়িত থাকতে পারে।