
মহম্মদ বাজার: এসআইআর চলছে পুরোদমে। ফর্ম-দেওয়া জমার কাজও একেবারে শেষ লগ্নে। ডিজিটাইজেশনের কাজও তাই। এরইমধ্যে এবার যেন হিসাব নিতে বসলেন বীরভূমের এককালের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। ধরে ধরে বিএলএ-দের বুথ প্রতি এসআইআরের খতিয়ান জানতে চাইলেন। যাঁর কাঁধে যে দায়িত্ব ছিল, যাঁর যাঁর যে বুথ দেখার কথা ছিল, বিএলও-দের সঙ্গে যাওয়ার কথা ছিল, জনে জনে তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন। সঙ্গে দিলেন নির্দেশ, করলেন সতর্ক।
এদিন মহম্মদ বাজারে এসআইআর সংক্রান্ত একটি সভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই দলের বিএলএ-দের সঙ্গে কথা বলার সময় ফের একবার তাঁদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন। পুরো কাজ যাতে নিয়ম মেনে সুষ্ঠভাবে হয় সে কথাও মনে করিয়ে দিলেন। জেলের কথা মনে করিয়ে মাইক হাতে বললেন, “কারও নাম যেন ভোটার লিস্ট থেকে বাদ না যায়। বাদ গেলই মুশকিল। আমারও ক্ষমতা নেই, তোমারও ক্ষমতা নেই, তাদেরকে টেনে নিয়ে গিয়ে ঢুকিয়ে দেবে।”
কোনওরকম বিবাদ, ঝামেলার কারণে যাতে ভোটারদের খেসারত দিতে না হয় সে বিষয়েও সতর্ক করতে দেখা গেল অনুব্রতকে। বললেন, “ওর সঙ্গে আমার ঝগড়া আছে, তাই নাম তুলব না এটা করবেন না। সবার নাম তুলুন। ওর সাথে আমার রা কথা নেই ওর নাম তুলব না, এটা করা যাবে না।”
এদিকে এদিনই আবার নতুন তথ্য দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ২৭ লক্ষ ৭১ হাজার ফর্ম আন কালেকটেড অবস্থায় রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে ১৫ লক্ষ ৫৩ হাজার মৃত ভোটারের খোঁজ মিলছে। খুঁজে পাওয়া যায়নি ২ লক্ষ ৬১ হাজার ভোটারকে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছেন ৮ লক্ষ ৮৮ হাজার। ডুপ্লিকেট বা ডবল এন্ট্রি রয়েছে ৫৮ হাজার ১৬৪ ভোটারের নাম।