Shatabdi Roy: শিয়রে পঞ্চায়েত ভোট, বীরভূমে জনসংযোগে বেরিয়ে জনতার ক্ষোভের মুখে শতাব্দী
Shatabdi Roy: সকলের সমস্যার কথাই এদিন মন দিয়ে শুনতে দেখা যায় শতাব্দীকে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন।
বীরভূম : শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Polls) সলতে পাকানো। হাত আর মাত্র কয়েকটা মাস। জেলায় জেলায় বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ময়দানে নেমে পড়েছেন শাসক থেকে বিরোধী দলের তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা। কয়েকদিন আগেই বীরভূমে সভা করে গিয়েছে বলিউডের সুপারস্টার তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামে জন সংযোগে গিয়ে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমেরই সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। বাড়ি, সরকারি পরিষেবা কিছুই পাইনি বলে সাংসদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা। যা নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। অস্বস্তিতে শাসক তৃণমূল। সমবেত জনতার উদ্দেশে শতাব্দীকে প্রশ্ন করতে দেখা গেল, “কেউ কী বাড়ি পাননি?”, সমবেত স্বরে মহিলাদের উত্তর, ‘না’। তারপরেই শতাব্দীর উত্তর, “বীরভূমের অনেক মানুষ বাড়ি পেয়েছেন। যাঁরা পাওয়ার যোগ্য ধীরে ধীরে সকলেই পাবেন।”
শনিবার বীরভূমের সাঁইথিয়া এলাকার হাতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতোড়া গ্রামে আজ জনসংযোগ কর্মসূচিতে যান বীরভূম জেলার সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাঁইথিয়ার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রচারে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেও তিনি। তবে সাংসদকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেল গ্রামবাসীদের। তাঁদের সাফ দাবি, প্রতিশ্রুতি থাকলেও অনেকেই এখনও বাড়ি পায়নি, অনেক গ্রামে রাস্তা হয়নি, এমনকি পুকুরে ঘাটও বাঁধিয়ে দেওয়া হয়নি। শতাব্দীর সামনে এমনই নানা অভিযোগ তুললেন গ্রামবাসীরা। যদিও ক্ষোভের মুখে পড়েও মাথা ঠান্ডা রাখতে দেখা যায় শতাব্দীকে।
সকলের সমস্যার কথাই এদিন মন দিয়ে শুনতে দেখা যায় শতাব্দীকে। সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দেন। তাঁর স্পষ্ট দাবি, যে সমস্ত কাজ বাকি রয়েছে তাও দ্রুত হয়ে যাবে। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শতাব্দীর দাবি, বেশিরভাগ মানুষই পরিষেবা পেয়েছেন। অনেক বেশি পরিষেবা পেয়েছেন। সংবাদমাধ্যম শুধু অন্য অভিযোগের ছবি গুলোই দেখাচ্ছে। অনেকেই বলেছেন আমরা পরিষেবা পেয়েছি। সেগুলিও দেখানো দরকার। সভাতে বেশিরভাগ মানুষ ভাল কথাই বলেছেন। আর যাঁরা এখন পাননি তাঁরা আগামীতে নিশ্চয়ই পাবেন। সে কারণেই দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে। এমনটাই দাবি তাঁর।