Visva-Bharati University: ‘বিশ্বভারতী অশিক্ষিতে ভরে গিয়েছে, বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডব বন্ধ করেছি’, ফের বিস্ফোরক উপাচার্য
Visva-Bharati University: বস্তুত, করোনার জন্য বন্ধ ছিল বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব। বর্তমানে করোনা কিছুটা শিথিল হয়েছে। কিন্তু এরপরও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তরফ থেকে আয়োজন করা হচ্ছে না বসন্ত উৎসবের।
শান্তিনিকেতন: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর (Bidyut Chakrabarty)। আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য তাঁর। বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা থেকে বলেন, “আমরা বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবের নামে তাণ্ডব বন্ধ করেছি।” একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিত এবং অল্প শিক্ষিততে ভরে গিয়েছে।”
বস্তুত, করোনার জন্য বন্ধ ছিল বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব। বর্তমানে করোনা কিছুটা শিথিল হয়েছে। কিন্তু এরপরও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তরফ থেকে আয়োজন করা হচ্ছে না বসন্ত উৎসবের। তার পরিবর্তে আয়োজন করা হয়েছে বসন্ত বন্দনার। আগামী ৩ মার্চ অর্থাৎ শুক্রবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে। তবে সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ। শুধু উপস্থিত থাকতে পারবেন বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা।
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। আজ বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “২০১৯ সাল থেকে বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবের নামে আমরা তাণ্ডব দেখেছিলাম। সেই তাণ্ডবই আমরা বন্ধ করেছি। তার বদলেই করা হচ্ছে বসন্ত বন্দনা।” পাশাপাশি বিশ্বভারতীর এই প্রথা পরিবর্তন নিয়েও নানা বক্তব্য দেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বলেন, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কখনোই এই উৎসবের নামে তাণ্ডব চাননি। সে কারণেই এই প্রথার পরিবর্তন করা হয়েছে।” এথানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, “বিশ্বভারতীতে অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে।যারা বিশ্বভারতীর অনেক ক্ষতি করছে।”
প্রসঙ্গত, বিতর্কে এর আগেও নাম জড়িয়েছে উপাচার্য বিদ্যুত চক্রবর্তীর। আশ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। সেখানে এসে উপাচার্য কার্যত আক্ষেপের সুরে বলেন, শান্তিনিকেতনের রাবীন্দ্রিক, আশ্রমিক এবং প্রাক্তনীরা অশিক্ষিত ও অল্প শিক্ষিত। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, বিশ্বভারতীকে কুলষিত করছেন এ সব ব্যক্তিরা।