Anubrata Mondal: বীরভূমের ‘বাঘ’ যখন ‘নীলকণ্ঠ’, গরল পান করতেন নাকি অনুব্রত!

Birbhum: গরল পান করেই যদি ৫০০ ৭০০ কোটি টাকা হয়ে যায়, তাহলে কয়েক হাজার কোটি টাকা কে পেল?, প্রশ্ন সজল ঘোষের।

Anubrata Mondal: বীরভূমের 'বাঘ' যখন 'নীলকণ্ঠ', গরল পান করতেন নাকি অনুব্রত!
অনুব্রত মণ্ডল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 01, 2023 | 4:48 PM

বীরভূম: নাম না করে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) সঙ্গে ‘নীলকণ্ঠ’-এর তুলনা। তুলনা টানলেন বীরভূম জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, সমুদ্রমন্থনে উঠেছিল গরল। যিনি এখন বীরভূমের গরল পান করতে পারতেন, তিনি দূরে। রাজনৈতিক প্যাঁচে তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। দীর্ঘ আটমাস অনুব্রত-হীন বীরভূম। গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠছে হামেশাই। কেউ কেউ বলছেন, দলের অন্দরে দলাদলি থাকলেও আগে তা ‘কেষ্টদা’র জন্য সামনে আসত না। কিন্তু এখন রাখঢাক আর করছে না কেউ।

দলীয় এক কর্মসূচিতে তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, “যখন সমুদ্রমন্থন হয়েছিল, অমৃতের সঙ্গে কিন্তু গরলও উঠেছিল। অমৃত যেমন দেবতারা ভাগ করে খেয়ে নিয়েছিল, গরল পানের লোক ছিল না। কে খেল গরলটা? খেলো নীলকণ্ঠ শিব। তিনি পান করে নীলকণ্ঠ হয়েছেন। বর্তমানে যে অবস্থা আমাদের বীরভূম জেলায় সেই বিষ যিনি পান করতেন পান করতে পারতেন, তিনি আমাদের কাছে নেই। তিনি ঘটনাচক্রে, রাজনৈতিক প্যাচঁ পয়জারে কায়দা করে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। আর ভাবছি আমরা শুধু অমৃতই পান করছি। বিষ তো নেই। তবে এর মধ্যেও কিন্তু গরলটা মিশে আছে। সেই গরল আমাদের নেতাদের মুখে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ছে।”

মলয় মুখোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “কেষ্ট সেই গরল পান করে ৫-৭০০ কোটি টাকা রোজগার করে নিল না হয় বুঝলাম। কিন্তু অমৃতটা কে খেল সেটাও তো বলতে হবে। গরল পান করেই যদি ৫০০ ৭০০ কোটি টাকা হয়ে যায়, তাহলে কয়েক হাজার কোটি টাকা কে পেল?”

যদিও নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা হিসাবে মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি বোঝাতে চেয়েছি, একটা সংগঠনে অনেক রকমের লোক আছে। কেউ চিৎকার করবে, কেউ চেঁচামেচি করবে, কারও দলীয় নীতি পছন্দ হবে না। কেউ কোনও নেতার বিরুদ্ধে কথা বলবে, কেউ ঠিকমতো জায়গা পাচ্ছে না বলে চিৎকার করবে। এ সমস্ত নিয়েই তো সংগঠন। তাদের সেই ক্ষোভ তা হজম করার ক্ষমতা অনুব্রত মণ্ডলের যথেষ্ট পরিমাণে ছিল। তিনি অন্য়ান্য বিক্ষুব্ধ নেতাদের কথা শুনতেন, সকলকে আশ্বস্ত করতেন, তাদের জ্বালা যন্ত্রণা নিজে হজম করতেন, গায়ে হাত বুলিয়ে বুঝিয়ে স্বপদে বহাল রেখে দলটাকে ঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতেন।”