Dilip Ghosh: মেক্সিকোর মতো অবস্থা হয়ে যাচ্ছে এ রাজ্যেও: দিলীপ ঘোষ
এদিন দিলীপ ঘোষ বর্ধমানের কাঁটাপুকুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং চা-চক্রে বসেন। সেই সময়ই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের পুলিশ- প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
বর্ধমান: মেক্সিকোর মত অবস্থা হয়ে যাচ্ছে এ রাজ্যেও। বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি (BJP)-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মূলত বর্ধমানের গলসিতে কেন্দ্রীয় দলের হয়রানি প্রসঙ্গেই এই মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্যে ‘তালিবানি শাসন’ চলছে বলেও কটাক্ষ করেন দিলীপ।
জানা গিয়েছে, এদিন দিলীপ ঘোষ বর্ধমানের কাঁটাপুকুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন এবং চা-চক্রে বসেন। সেই সময়ই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যের পুলিশ- প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। আবাস যোজনার দুর্নীতির তদন্তে এসে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের বাধা পাওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ বলেন, “এ রাজ্যে এমনটাই হয়। এ রাজ্যে তালিবানি সরকার চলছে। সাংবিধানিক ব্যবস্থাটাই নেই।” এরপর সরাসরি শাসকদলকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “যত অ্যান্টিসোশ্যাল, অ্যান্টি-ন্যাশনাল এ রাজ্যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কেন্দ্রীয় দল এলে সমস্যাটা কী? চুরি যদি করে থাকেন তবেই সমস্যা। টিএমসি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আটকাচ্ছে।”
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আটকানো প্রসঙ্গে দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ার ঘটনাও তুলে ধরেন বিজেপি সাংসদ। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “TMC কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আটকাচ্ছে। আর পাবলিক ওদের (তৃণমূল) নেতা-মন্ত্রীদের আটকাচ্ছে।”
এদিন বালি মাফিয়া ও কয়লা মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়েও রাজ্য সরকারকে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কয়লা বা বালি মাফিয়ারা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। মেক্সিকোর মতো অবস্থা হয়ে যাচ্ছে এ রাজ্যেও।”
প্রসঙ্গত, আবাস যোজনা তদন্তে বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে দিনভর ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দুই সদস্য। মনোজ কুমার ও প্রদ্যুৎ কুমার কর নামে দুই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি এদিন গলসি-১ নম্বর ব্লকের বুদবুদ ও উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আবাস যোজনার তদন্তে যান। তবে যাওয়ার পথে দুই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি মনোজ কুমার ও প্রদ্যুৎ কুমার কর পথ অবরোধের সম্মুখীন হন। গলসির ২ নম্বর জাতীয় সড়কের গলিগ্রাম মোড়ে ঘণ্টা খানেক অবরোধে তাঁরা আটকে ছিলেন। তারপর দিনের শেষে তাঁরা যান উচ্চগ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর গ্রামে।