AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIr in Bengal: এবার জয়নগর! কাজের চাপে হৃদরোগে আক্রন্ত BLO, কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন MLA

BLO in Bengal: জয়নগরের হরিনারায়নপুর ৩১ নম্বর বুথের BLO কমল নস্কর। পেশায় দুয়ের পল্লী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক। সম্প্রতি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ অতিরিক্ত কাজের চাপ তিনি আর নিতে পারছিলেন না।

SIr in Bengal: এবার জয়নগর! কাজের চাপে হৃদরোগে আক্রন্ত BLO, কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন MLA
চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলেও Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 22, 2025 | 9:26 PM
Share

জয়নগর: অসুস্থ হয়ে গেলেন আরও এক বিএলও। ফের শোনা গেল অতিরিক্ত কাজের চাপের কথা। ভর্তি হাসপাতালে। এবার ঘটনা জয়নগরের। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিন প্রান্তে তিন বিএলও-র মৃত্যুর খবর এসেছে। একসারিতে চলে এসেছে পূর্ব বর্ধমান, জলপাইগুড়ি, নদিয়া। বারবার শোনা গিয়েছে কাজের চাপের কথা। শুধু মৃত্যুই নয়, দিকে দিকে অসুস্থও হয়ে গিয়েছেন বিএলও-রা। এদিন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জঙ্গিপুর বিধানসভার ১৩৭ নম্বর বুথে বরোজ এলাকার বুথ লেভেল অফিসার কৌশিক ঘোষ। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ডেডলাইে বাধা কাজের চাপেই তাঁর ওই অবস্থা। এবার যেন একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখা গেল জয়নগরে। 

জয়নগরের হরিনারায়নপুর ৩১ নম্বর বুথের BLO কমল নস্কর। পেশায় দুয়ের পল্লী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক। সম্প্রতি তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ অতিরিক্ত কাজের চাপ তিনি আর নিতে পারছিলেন না। ইতিমধ্যেই ১১৬০টি এসআইআরের ফর্ম তিনি এলাকার মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ২০টি ফর্ম তিনি সংগ্রহ করেছেন। এরইমধ্যে শনিবার বিকালে জয়নগর ১ নম্বর ব্লক এর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সমস্ত বিএল ওদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি সমস্ত বিএলওদের ২৬ তারিখের মধ্যে সমস্ত ফর্ম সংগ্রহ করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরিবারের সদস্যরা বলছেন এ কথা জানার পরেই বাড়ি ফিরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

তড়িঘড়ি তাঁকে স্থাবীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। যান জয়নগর বিধানসভার বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিশ্বনাথবাবু। তিনি বলেন, “৪ তারিখ থেকে ফর্ম বিলি করার কাজ থাকলেও ১১ তারিখ ওনার কাছে ফর্ম এসে পৌঁছায়। এত অল্প সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে। এরফলেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।”