AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Burdwan: চাষই করলেন না অথচ পেয়ে গেলেন কৃষি বিমার ক্ষতিপূরণ! কৃষিবিমাতেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

Burdwan: চাষিরা তাঁদের অভিযোগে প্রশাসনকে জানিয়েছে, রবি মরসুমে ’কৃষি বিমার’ জন্যে তাঁরা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু শাকনাড়া গ্রামের হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকি আর কেউ বিমার টাকা পায়নি। আর অনেকের অ্যাকাউন্টে বিমার টাকা ঢুকেছে,তাঁরা কেউ চাষ-আবাদই করেন না।

Burdwan: চাষই করলেন না অথচ পেয়ে গেলেন কৃষি বিমার ক্ষতিপূরণ! কৃষিবিমাতেও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ
বিক্ষুদ্ধ চাষিরাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 23, 2025 | 9:51 PM
Share

 বর্ধমান: কৃষি বিমাতেও এবার দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযোগ, যাঁদের এক ছটাকও জমি নেই, যাঁরা চাষই করেননি,তাঁরাই পেয়েছেন রবি মরশুমের শস্য চাষের ’কৃষি বিমার’ ক্ষতিপূরণ। অথচ রবি মরশুমের শস্য চাষের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকে বঞ্চিতই হয়েছেন । এ নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ পূর্ব বর্ধমানের রায়না ১ নম্বর ব্লকের পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েতের শাকনাড়া গ্রামের চাষিরা। তাঁরা এই ঘটনার বিহিত চেয়ে বিডিও, এবং এডিএ-সহ জেলা প্রশাসনের নানামহল, এমনকি রায়নার বিধায়কের কাছেও লিখিত অভিযোগ জানিছেন। এই দুর্নীতি কাণ্ডে কৃষি দফতরের নিয়োগ করা বিমা সংস্থার কর্মীদের কাঠগড়ায় তুলেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

চাষিরা তাঁদের অভিযোগে প্রশাসনকে জানিয়েছে, রবি মরসুমে ’কৃষি বিমার’ জন্যে তাঁরা আবেদন করেছিলেন। কিন্তু শাকনাড়া গ্রামের হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকি আর কেউ বিমার টাকা পায়নি। আর অনেকের অ্যাকাউন্টে বিমার টাকা ঢুকেছে,তাঁরা কেউ চাষ-আবাদই করেন না। এমনকি, কারও কারও বাড়ির কেউ কেউ আবার সরকারি কর্মচারী।

চাষিরা তাঁদের অভিযোগে এও উল্লেখ করেছেন, এমন অনেক বিমার টাকা পাওয়া ব্যক্তি রয়েছেন, যাঁদের নিজের অঞ্চলে জমি নেই। অন্য অঞ্চলের তাঁদের জমি আছে বলে দেখানো হয়েছে। এ ছাড়াও একই মরসুমে দু’বার বিমার টাকা পেয়েছেন, এমন ব্যক্তিও রয়েছেন। এমনকি বিমা সংস্থার হয়ে চাষিদের তথ্য সংগ্রহের কাজের সঙ্গে যুক্তদের আত্মীয়রাও বিমার টাকা পেয়েছে বলে বঞ্চিত চাষিরা অভিযোগ করেছেন। এই নিয়ে চাষিরা বিডিও-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অন্যদিকে রায়না ১ পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বামদেব মণ্ডল এই নিয়ে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “কৃষি দফতরে অনেক গরমিলের কাজ হয়।” ভূমি দফতরের বিরুদ্ধেও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ঠিকভাবে কাজ না হলে উচ্চস্তরে জানাব।”