Contai: অখিল বনাম পীযুষ! সমবায়ের পর কাঁথির কার্ড ব্যাঙ্কেও ‘লড়াই’ প্রকাশ্যে
Contai: সারা রাজ্যে ২৪টি কার্ড ব্যাঙ্কের মধ্যে এই কাঁথি এল ডি বি ব্যাঙ্ক ১ নম্বরে রয়েছে। যার বাৎসরিক টার্ন ওভার গত অর্থবর্ষে ১.৩৫ কোটি টাকা। এই কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের মোট আসন সংখ্যা হল ৭৮টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ১৫৩ জন।

পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথি কোপারেটিভ ব্যাঙ্কের পর আবারও কাঁথি কার্ড ব্যাঙ্ক নিয়েও শুরু হল অখিল গিরি বনাম জেলা সভাপতি পীযুষ পান্ডার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই। অন্তত কাঁথির রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে তেমনটাই শোনা যাচ্ছে। এখানেও সেই প্রার্থী তালিকা ও নির্বাচনী কনভেনর করা নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত।
প্রসঙ্গত, সারা রাজ্যে ২৪টি কার্ড ব্যাঙ্কের মধ্যে এই কাঁথি এল ডি বি ব্যাঙ্ক ১ নম্বরে রয়েছে। যার বাৎসরিক টার্ন ওভার গত অর্থবর্ষে ১.৩৫ কোটি টাকা। এই কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের মোট আসন সংখ্যা হল ৭৮টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৫৮ হাজার ১৫৩ জন।
কাঁথি কোপারেটিভ ব্যাঙ্কের শাসকের কোন্দল থেকে শিক্ষা নিয়েই রাজ্যে নেতৃত্ব কাঁথি কার্ড ব্যাঙ্ক নির্বাচনে সাবধানী পদক্ষেপ করেছিল রাজ্য। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এখানেও অখিল বনাম উত্তম বারিক ঘনিষ্ট জেলা সভাপতির মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়েছে বলে তৃণমূলের একাংশের মত।
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রার্থীপদে গতবারের সম্পাদক ভগবানপুর ২ কেন্দ্রের প্রার্থী স্বপন দাসকে মানতে নারাজ জেলা তৃণমূলের সভাপতি। এছাড়াও এই নির্বাচনের কনভেনর অখিল গিরিকে করেছে রাজ্য বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু জেলা সভাপতি পীযুষ পন্ডার মতে, কোপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে তিনি ছিলেন, নেত্রীই তাঁকে সেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর কথায়, “এখানে কোনও কনভেনর নেই অন্তত জেলা সভাপতি হিসেবে আমার জানা।”
আবার গত তিনবারের চেয়ারম্যান, রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবার আর ভোটে লড়াই করছেন না বলে খবর। যদিও বিজেপি সমর্থিতরা বেশ কয়েকটি আসনে রয়েছেন, সব আসনে নেই।
কাঁথি জেলা তৃণমূল সভাপতি পীযুষ পন্ডা বলেন, “এই ব্যাঙ্কের হাজার হাজার মানুষের পুঁজি জমা আছে। এই ব্যাঙ্ককে আমাদের বাঁচাতে হবে। এক্ষেত্রে তৃণমূল অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সব ব্লক সভাপতিদের ডাকা হয়েছিল, যাঁরা সমবায় বোঝেন, তাঁরা নিজেদের মতো করে প্যানেল জমা দিয়েছেন। ৭৮টা আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।” শুভেন্দু অধিকারী এক্ষেত্রে কোনও ফ্যাক্টর হবে না বলেই জানিয়েছেন তিনি।
প্রার্থী নির্বাচনে কোথাও কোনও মতের অমিল নেই বলেই জানিয়েছেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তিনি বলেন, “বিগত দিনেও দেখা গিয়েছে, নেত্রীর নির্দেশে সহমতের ভিত্তিতেই প্রার্থী হয়েছে। আশিস চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে এখানে সর্বমতে প্রার্থীতালিকা তৈরি হয়েছে। জেলা সভাপতি হিসাবে পীযুস পন্ডা প্রার্থী তালিকায় সই করেছেন।”
যদিও বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অসীম মিশ্রের কটাক্ষ, “নির্বাচনে কাটমানিখোরেদের লড়াই শুরু হয়েছে। “





