TMC-BJP: বিরাট ধাক্কা বঙ্গ বিজেপিতে? তৃণমূলে আসতে চলেছেন ডজন খানেক বিধায়ক?

TMC-BJP: তবে শুধু রবীন্দ্রনাথ একা নন, কয়েকদিন আগে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কুণাল ঘোষও। সাফ বলেছিলেন, বিজেপির অন্তত ৪ জন সাংসদ তৃণমূলে আসার জন্য তৈরি হয়ে আছেন। একঝাঁক বিধায়কও তৈরি রয়েছেন দল বদলাতে।

TMC-BJP: বিরাট ধাক্কা বঙ্গ বিজেপিতে? তৃণমূলে আসতে চলেছেন ডজন খানেক বিধায়ক?
রাজনৈতিক মহলে জোর বিতর্ক Image Credit source: Facebook

| Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 15, 2025 | 1:53 PM

কোচবিহার: কয়েকদিন আগেই এক্কেবারে শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডল যোগ দিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরে। এ নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যেই বড় দাবি করে ফেলছেন তৃণমূল নেতারা। নাটাবাড়ির প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সাফ বলছেন, ১২ জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে আসতে চাইছেন। কথাও চলছে। তাঁর এ দাবি ঘিরেই এখন জোর শোরগোল উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে।  

টিভি৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে রবীন্দ্রনাথ স্পষ্ট বললেন, “কোচবিহারে তিনজন বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তাঁরা নিজেরাই আলোচনা করে ধীরে ধীরে এগোচ্ছেন। এখন দেখা যাক বিষয়টা কী দাঁড়ায়!” এরপরই একেবারে বিস্ফোরক দাবি করে বসেন। বলেন, “উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় অনেক বিজেপির এমএলএ রয়েছেন যাঁরা আমাদের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে যাচ্ছে। আমার ধারনা, উত্তরবঙ্গে ১০-১১ জনের বেশি বিধায়ক ঠিক নির্বাচনের আগে দল পরিবর্তন করবে। সংখ্যাটা এক ডজনও হতে পারে।”  

তবে শুধু রবীন্দ্রনাথ একা নন, কয়েকদিন আগে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কুণাল ঘোষও। সাফ বলেছিলেন, বিজেপির অন্তত ৪ জন সাংসদ তৃণমূলে আসার জন্য তৈরি হয়ে আছেন। একঝাঁক বিধায়কও তৈরি রয়েছেন দল বদলাতে। তাঁর এ মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছিল বিস্তর চাপানউতোর। এবার আসরে রবীন্দ্রনাথ। 

তবে পাল্টা আক্রমণ করছে বিজেপি। উত্তরের বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ তো গোটা জল্পনাই ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর আবার দাবি, তৃণমূল থেকেই তাঁদের বিধায়করা দল বদল করতে মুখিয়ে রয়েছেন। তিনি বলছেন, “হতাশা খেকে রবীবাবু এ এমন কথা বলছেন কিনা আমি বলতে পারব না। তবে আমার কাছে উল্টো খবর আছে। ওনাদের দলের সঙ্কটের কারণে অনেকেই টিকিট পাওয়া নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। ছাব্বিশে যেহেতু তৃণমূলের জয়ের সম্ভাবনা কম তাই এখন থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ইট পেতে রয়েছেন।” 

যদিও রবীন্দ্রনাথ বলছেন, “ওই বিধায়করা গত চার বছরের মধ্যে কোনও কাজ করতে পারেনি। দিল্লি থেকে একশো দিনের টাকা আনতে পারেনি, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আলাদা কোনও ফান্ড আনতে পারেনি। মানুষের কাছে যেতে পারেনি। কারণ তাঁরা উন্নয়ন কিছুই করতে পারেনি। ওরা যদি এরপরেও রাজনীতি করতে চায়, বিধায়ক হতে চায় তাহলে তাঁদের দলটা পরিবর্তন করতেই হবে।”