Suicide: সালিশি সভায় তৃণমূল নেতার ‘শাসন’, অপমানে আত্মঘাতী মা-মরা নাবালক!

TMC Leader: স্থানীয়দের কথায়, বছর সতেরোর ওই ছেলেটি বাবার এই কাজ আর তার পর সালিশি সভায় সর্বসমক্ষে তাকে মারধর একেবারেই মেনে নিতে পারেনি। তাই হয়ত আত্মহত্যা করে বসেছে সে। 

Suicide: সালিশি সভায় তৃণমূল নেতার 'শাসন', অপমানে আত্মঘাতী মা-মরা নাবালক!
আত্মঘাতী সেই নাবালক। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2021 | 7:11 PM

কোচবিহার: আবারও সালিশি সভাকে কেন্দ্র করে মারাত্মক অভিযোগ কোচবিহার জেলায়। সালিশি সভায় স্থানীয় তৃণমূল নেতার (TMC leader) মারের পরে অপমানে আত্মঘাতী হল এক নাবালক (Minor)। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহার (Cooch Bihar) জেলার মাথাভাঙ্গার খাটেরবাড়ি এলাকায়।

জানা গিয়েছে, মাথাভাঙ্গা ছাট খাটেরবাড়ি এলাকায় সালিশি সভায় এক নাবালককে মারধর করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তাঁর মারের চোটে আহত হয় আকাশ দাস নামে এক নাবালক। এর পরে লজ্জা-অপমানে আত্মঘাতী হয় সে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল নেতার শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ।

ঠিক কী ঘটেছিল?

কাঠেরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা কার্ত্তিক দাসের দুই ছেলে চন্দন দাস ও আকাশ দাস। স্ত্রী বিয়োগের পর আবার বিয়ে করেন কার্ত্তিক। কিন্তু সৎ মায়ের সঙ্গে একাবারেই বনিবনা হত না দুই ছেলের বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে দুই ছেলেকে নিয়ে অশান্তি চলছিল কার্ত্তিকের পরিবারে।

আত্মঘাতী নাবালক আকাশের দাদা চন্দন দাসের কথায়,  বাড়িতে একটা টিভি সেট ভাঙা দেখে দুই ভাইয়ের উপর দোষ চাপান বাবা। তারা দুই ভাই বাবাকে জানায় তাঁরা এ নিয়ে কিছুই জানে না। তাঁরা টিভি ভাঙেনি। কিন্তু দুই ছেলের কথা কানে তোলেননি বাবা। এর পর এদিন সকালে বাবা এলাকার তৃণমূল বুথ সভাপতি ফটিক দাস, তৃণমূল নেতা বাবলু দাস ও প্ৰমোথ দাসকে নিয়ে সালিশি সভা ডাকে। সেখানে প্ৰমোদ দাস আকাশকে বেধড়ক মারধর করে বলে দাবি দাদা চন্দনের। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে নাবালক আত্মহননের পথ বেছে নেয় বলে কাঁদতে কাঁদতে জানান আকাশ। আকাশের কথায়, প্রমোদ দাস আমার ভাইকে মারে। কথা বলতে হঠাৎ ওরা মারধর শুরু করল। আমার ভাই বারবার বলতে থাকে ও টিভি ভাঙেনি। কিন্তু ওর কথা কেউ শোনেনি। চোখ ছলছল চোখে তাঁর দাবি, যারা আমার ভাইকে মারল তাদের যেন শাস্তি হয়।তিনি প্রশাসনের কাছে ওই সালিশি সভার বিচারকদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের কথায়, বছর সতেরোর ওই ছেলেটি বাবার এই কাজ আর তার পর সালিশি সভায় সর্বসমক্ষে তাকে মারধর একেবারেই মেনে নিতে পারেনি। তাই হয়ত আত্মহত্যা করে বসেছে সে।

যদিও তৃণমূল বুথ সভাপতি ফটিক দাস এই মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, ছেলেটি আগেও এ ধরনের চেষ্টা করেছে। ওর বাবা সালিশি সভা ডাকে।  ফটিক দাসের কথায়, “আমি কেন মারতে যাব! আমি বলেছিলাম, কেন বাড়িতে অশান্তি করছিস? বাবার সঙ্গে যখন অশান্তি হচ্ছে দু’ভাই আলাদাল থাক। আলাদা ভাবে রান্না-বান্না করে খা। তার পর ছেলেটি বাড়িতে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।” এদিকে মাতৃহীন নাবালকের আত্মহত্যায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: Murder: স্ত্রী’র মাথা থেঁতলে শাড়ি জড়িয়ে খাটে শুইয়ে রেখে পালাল স্বামী