Sukanta Majumdar: ‘একবার হাত ভেঙে, এবার অন্য কিছু ভাঙবে’ উদয়নকে খোঁচা সুকান্তর, পাল্টা বিতর্কিত কথা মন্ত্রীর
Sukanta Majumdar: "পুলিশবাহিনী ছাড়া তৃণমূল ১৫ মিনিটেই শেষ।" রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই অশান্তির খবরও বাড়ছে।
কোচবিহার: ‘শূন্য গোয়াল করে দেব’, রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর আর এক দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী উদায়ন গুহকে বললেন, পুলিশ ছাড়া তৃণমূল ১৫ মিনিটেই শেষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এহেন মন্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি বটে, কিন্তু শাসক-বিরোধী দু’পক্ষের তরজা জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে আরও পারদ চড়িয়েছে। দলীয় কর্মসূচিতেই উত্তরবঙ্গে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শাসকনেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে কটাক্ষের পর সুকান্ত হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে। তিনি বললেন, “নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ঘুরুন, একবার হাত ভেঙেছে, এবার আরও কিছু ভাঙবে।” পাল্টা সুকান্তকেও তীব্র কটাক্ষ করলেন উদয়ন গুহ।
মঙ্গলবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জ, ঘোকসাডাঙায় সভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শাসকদলের নেতৃত্বকে বিঁধতে গিয়ে তিনি বলেন, “একবার হাত ভেঙেছে, এবার আরও কিছু ভেঙে দেব।” তিনি বলেন, “পুলিশবাহিনী ছাড়া তৃণমূল ১৫ মিনিটেই শেষ।” রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই অশান্তির খবরও বাড়ছে।
সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই শাসকদলের নেতৃত্বকে বেঁধেন সুকান্ত। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বিঁধতে গিয়ে এমন মন্তব্য করলেন উদয়ন, তাতে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক দানা বাঁধল। সুকান্তকে বিঁধে উদয়ন বলেন, “নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া ঘুরে দেখুন, কলাপাতা দিয়ে লজ্জাস্থান ঢেকে বাড়িতে যেতে হবে। জামাকাপড় খুলে নেবে মানুষ।” উদয়নের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
সুকান্ত মজুমদার প্রসঙ্গে উদয়ন গুহর বক্তব্যকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “ওঁ তো ওঁর বাবার পরিচয়ে করে কম্মে খাচ্ছেন। বুড়ো বয়সে আসলে ওঁর ভীমরতি হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুকেই হাতিয়ার করেছে বিরোধী দল। আর বিরোধী দলের নেতারা যখন শাসক নেতৃত্বকে বিঁধছেন, তখনই আক্রমণ পাল্ট আক্রমণের ফ্যাঁসাদে পড়ে শালীনতা হারাচ্ছে রাজনীতি।