AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cooch Behar: চাকরির নামে টাকা হাতানোর পর ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার TMC নেতা

Cooch Behar: নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী,  গত ১৪ই মার্চ ওই মহিলাকে চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে বলে ডেকে নেন তৃণমূল নেতা। সেই মতো মহিলাকে দিনহাটায় বাবার বাড়ি থেকে তৃণমূল নেতা গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে অন্যত্র একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যান বলে অভিযোগ।

Cooch Behar: চাকরির নামে টাকা হাতানোর পর ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার TMC নেতা
বাঁ দিকে ধৃত তৃণমূল নেতাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2025 | 5:27 PM
Share

কোচবিহার: প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়া ও চাকরি প্রার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি।  চাকরি প্রার্থী টাকা ফেরত চাইলে ইন্টারভিউয়ের নামে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা।  ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য দিনহাটার বড় আটিয়াবাড়ি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও ধৃতের বক্তব্য, এ সবই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনহাটায় এক মহিলাকে চাকরির টোপ দেন। অভিযোগ ওই মহিলার বাবার কাছ থেকে মেয়েকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার চাকরি দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা নেন ওই তৃণমূল নেতা। এরপর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চান নির্যাতিতা। তখন থেকেই শুরু হয় টালবাহানা।

নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী,  গত ১৪ই মার্চ ওই মহিলাকে চাকরির ইন্টারভিউ রয়েছে বলে ডেকে নেন তৃণমূল নেতা। সেই মতো মহিলাকে দিনহাটায় বাবার বাড়ি থেকে তৃণমূল নেতা গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে অন্যত্র একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। সেখানে ভয় দেখিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করেন, মহিলার নগ্ন ছবি ও ভিডিয়ো তুলে রেখে ব্ল্যাকমেইল করেন বলে অভিযোগ।

মহিলার আরও দাবি, অভিযুক্ত তাঁর নগ্ন ভিডিয়ো স্বামীর ফোনে পাঠিয়ে দেবেন বলেও হুমকি দেন। সোমবার রাতে দিনহাটা মহিলা থানায় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও চাকরির নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর বাবা। এরপর পুলিশ রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

যদিও ধৃত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, “পারিবারিক একটা সমস্যা। মারামারি হয়েছে। এবার সেটাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষণের অভিযোগের ব্যাপারে কিছু বলব না, পুরোটাই চক্রান্ত।”

কোচবিহার জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি আব্দুল জলিল বলেন, “এটাই প্রমাণ করে দিল, বাংলায় আইনের শাসন রয়েছে। কেউ অপরাধ করলে, তা প্রমাণিত হলে, নিশ্চয়ই শাস্তি পাবে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে তা হয় না।”

অন্যদিকে, বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেন, “এটা ওদেরই কালচার। সারা বাংলায় এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। যে অভিযুক্ত তার কঠোরতম শাস্তি চাই। ”