Dilip Ghosh: ফের নজরে স্বাস্থ্য সাথী, ‘ওই সব কিছুই ভাঁওতা’ কটাক্ষ দিলীপের

Coochbehar: তিনি বলেন, "যেসব বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসা করেছিল রুগীদের, তাদের বিলের কোটি কোটি টাকা বাকি পড়ে রয়েছে ।  তাই হাসপাতালগুলো পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে"

Dilip Ghosh: ফের নজরে স্বাস্থ্য সাথী, 'ওই সব কিছুই ভাঁওতা' কটাক্ষ দিলীপের
প্রাতঃভ্রমণে দিলীপ ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 27, 2021 | 11:51 AM

জলপাইগুড়ি: ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। আজ প্রথম নয়, প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এর আগে বহু বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। আজ ফের শাসকদলকে চাঁচাছোলা ভাষা আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির সর্ভভারতীয় সহ সভাপতি।

আজ প্রাতঃভ্রমণে কোচবিহারের (Coochbehar) প্রাণকেন্দ্র সাগরদিঘিতে (Sagar dighi) যান দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানে চা চক্রে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ” স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হল ভাঁওতা। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে চিকিৎসা করে বেসরকারি হাসপাতালগুলো টাকা পাচ্ছে না। তাই তারা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসা করছে না । ” এখানেই শেষ নয়। সঙ্গে আরও যোগ করে বলেন, “যেসব বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড নিয়ে চিকিৎসা করেছিল রুগীদের, তাদের বিলের কোটি কোটি টাকা বাকি পড়ে রয়েছে ।  তাই হাসপাতালগুলো পরিষেবা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে”

দিলীপ প্রশ্ন তোলেন,”স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের কথা বলে আসলে লোককে বোকা বানানো হয়েছে । তার ভবিষ্যৎ কী হবে? আর চিকিৎসার কী হবে? তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বছরে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা দিচ্ছে। আয়ুষ্মান যোজনার বীমা, রাজ্য সরকার কেন নিচ্ছে না সেই প্রকল্প । ” তাঁর বক্তব্য,”এদের তো নিজের কর্মীদের ‘পুশতে’ গিয়ে সরকারি টাকা শেষ। তারপরে ক্লাবকে দিতে গিয়ে, দুর্গাপূজায় দিতে গিয়ে লুট হয়ে যাচ্ছে। না লক্ষীর ভাণ্ডার হবে আর না স্বাস্থ্য সাথী হবে কেবল ভাঁওতাবাজি । এখন সব ধরা পড়ছে।”

আজ সকালে কোচবিহার সাগরদিঘির চত্বরে প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণ শেষে চা চক্রে যোগ দেন তিনি । কথা বলেন সাধারণ পথ চলতি মানুষদের সঙ্গে। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে সহ বিজেপির অনান্য জেলা নেতৃত্ব।

প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য কার্ড নিয়ে কম এর আগে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্যের একাধিক জায়গায় জন-সাধারণের অভিযোগ ছিল যে স্বাস্থ্য-সাথী কার্ড দেখালেও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে মিলছে না পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা। প্রশ্নের মুখে উঠতে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। এরপর উত্তরবঙ্গ সফরে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, যে সকল হাসপাতালগুলি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নেবে না তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।  শিলিগুড়ির প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও একবার বলে দেন, “শুনেছি, বহু বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী কার্য নিচ্ছে না। এমনটা হলে আগে চিহ্নিত করুন। দ্রুত তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে হবে। দরকার হলে আমি তাদের লাইসেন্স বাতিল করব।”

আরও পড়ুন: New Delhi: ভ্রমণ স্থান হিসাবে বিশ্বের সেরা রাজধানীর তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করল নয়া দিল্লি